মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে বহদ্দারহাট এলাকার নুরনগর হাউজিং সোসাইটির একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এ জাল নোট জব্দ করা হয়। র্যাব জানায়, উদ্ধার করা নোটগুলো শুটিংয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য ছাপানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন গ্রেফতার তানজিম।
তিনি নগরের আন্দরকিল্লার অঙ্কুর প্রিন্টার্স থেকে প্রতি বান্ডেল ৩০ টাকায় ছাপিয়ে এনে ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন। এতে ভালো লাভ হয়। অনুমতি না থাকায় একে জাল বলা যেতে পারে।’
এ বিষয়ে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সরকার কাউকেই টাকা ছাপানোর অনুমতি দেয়নি। এখানে আমরা সত্যিকারের জাল নোট পেয়েছি, যেগুলো অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করা হতো।
র্যাব জানায়, সিলেটে এক অভিযানে জাল টাকাসহ আরেকজনকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে নামে র্যাব-৭। এরই মধ্যে যেখান থেকে নোটগুলো ছাপানো হয়েছে সেখানকার দুজনকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
বিদেশি বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে নয়, বরং দ্রুত সময়ে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে এবং বন্দর ব্যবস্থাপনার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ (১৫ অক্টোবর) থেকে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের হৃদপিণ্ড চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন শুল্ক হার কার্যকর হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্দরের পরিষেবা খরচ এক লাফে গড়ে ৪১ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনার খরচ কম হতে পারে, কিন্তু এখন সময় অনেক বেশি লাগছে। পোর্টে যানজট হচ্ছে, ডেমারেজ দিতে হচ্ছে—এটা ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পোর্ট চার্জ কম নয়, কিন্তু কার্যক্রম খুব দ্রুত সম্পন্ন হয়। উদাহরণ হিসেবে, গার্মেন্টস শিল্পের উদ্যোক্তারা কমপ্লেইন করেন যে পণ্য দ্রুত পৌঁছায় না।
আপনার উৎপাদিত পণ্য যদি দ্রুত পৌঁছাতে পারে এবং শিপিং খরচ বাঁচানো সম্ভব হয়, তবে এতে মোট অর্থনীতিতে লাভ হয়। যদিও কিছু ক্ষেত্রে রেট বেশি দিতে হয়।’
‘বন্দরে দ্রুতগতির উন্নত সেবা নিশ্চিত করতেই শুল্ক বাড়ানো হয়েছে’ বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমার মতে, ব্যবসায়ীদের এই পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে বুঝতে হবে। যারা দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য সার্ভিস চায়, তাদের জন্য সার্ভিসের মান উন্নত করতে হবে।
এজন্য আমরা নতুন একটি টার্মিনাল তৈরি করছি। তবে টার্মিনাল ও সার্ভিস উন্নয়নে খরচ বিবেচনা করে সঠিক সার্ভিস চার্জ বা কস্ট প্রাইস নেওয়াই যুক্তিসঙ্গত। সুতরাং, ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কারণে সঠিক চার্জ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
বর্তমান সমালোচনা হচ্ছে যে বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকার এই পরিবর্তন করছে।
তবে এমন দাবি নাকচ করেছেন সরকারের দায়িত্বশীলরা। অর্থ সচিব ড. মোহাম্মদ খায়েরুজ্জামান মজুমদার দাবি করেন, শুল্ক বাড়ানো হয়নি বরং আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে দীর্ঘ দিন পর তা সমন্বয় করা হয়েছে।
অর্থ সচিব বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, চার্জ বর্তমান প্রয়োজন অনুযায়ী আপগ্রেড করা হয়েছে। ৩০ বছর আগে যে শুল্ক হার তা সমন্বয় করা হয়েছে এবং তা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনও কম রাখা হয়েছে।
এটি ব্যবসায়ীদের কার্যক্রমে সময়োপযোগী সুবিধা নিশ্চিত করবে এবং সার্ভিস মান উন্নত করবে। এছাড়া, ফি বাড়ানোর মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থও বিনিয়োগ করা যাবে যা সার্ভিসের মান নিশ্চিত করবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, শুল্ক বাড়ানোয় পণ্য খালাসে হয়রানি কমবে। দিতে হবে না বাড়তি কোনো অর্থ। তবে অর্থ উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে একমত নন ব্যবসায়ীরা। তাদের শঙ্কা, শুল্ক বাড়ানোর পরও ঘুষ-অনিয়ম বন্ধ হবে না।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যেসব কন্ট্রাক্ট করা হয়েছে, সেগুলো মানা হচ্ছে। অতিরিক্ত পেমেন্ট বা বিনা খরচে অন্য কোনো সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘কম খরচে কেউ সেবা দিতে পারবে না। ভালো মানের সেবা পেতে হলে কিছুটা বেশি ফি নেওয়াই বাস্তব। এটি সমস্যা নয়, বরং সার্ভিসের মান নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন।’
শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ)সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জাগো নিউজকে বলেন, ‘উপদেষ্টা বলেছেন শুল্ক বাড়লে দ্রুত সেবা কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। কিন্তু সেটা তিনি কিভাবে নিশ্চিত করবেন? যদি নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
‘দুর্নীতিবাজ কাস্টম কর্মকর্তাদের কারণেই ধীরগতি হয়। তাদের যদি টাকা দেওয়া হয়, তাহলে দ্রুত খালাস হয়। আর তা না হলে তারা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজে খুঁজে দীর্ঘ করার উপায় বের করে এবং অবৈধ অর্থ দাবি করেন। সুতরাং অর্থ উপদেষ্টাকে নিশ্চিত করতে হবে যে বর্ধিত হারে চার্জ দিলে দুর্নীতি থাকবে না অথবা যথাসময় কাজ সম্পন্ন হবে।’
বিকেএমইএ সভাপতি বলেন, গত ৪০ বছরে কেন বাড়ানো হলো না শুল্কের হার? এখন হঠাৎ করে কেন একবারে ৪০ শতাংশ বা তার বেশি বাড়ানো হলো? এটা শিল্পের জন্য একটা বোঝা।
বছরে বছরে ক্রমান্বয়ে বাড়ালে এটা শিল্পের জন্য ভালো হতো। এবং সরকারের জন্য ভালো হতো। আমাদের দাবি যাতে করে শিল্পের ক্ষতি না হয় এবং এই বর্ধিত হারে শুল্ক দেওয়ার পরেও কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না করা হয়।’
মন্তব্য করুন
এরআগে হাইকোর্ট মোড় সংলগ্ন রাস্তায় কর্মসূচি ঘোষণা করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষকরা ‘২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দিয়ে দাও, দিতে হবে’, ‘অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে’, ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘আগামীকাল শাহবাগ-ব্লকেড হবে ব্লকেড হবে’ স্লোগান দেন।
কর্মসূচি ঘোষণার পর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, আমরা শহীদ মিনার থেকে আজ সচিবালয়ে এসেছি, কাল শাহবাগ যাবো। এরপরে যমুনার দিকেও হয়তো আমাদের যেতে হতে পারে।
আপনারা যদি আমাদের কষ্টকে দীর্ঘায়িত করেন, আমাদের পীঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা হয়তো যমুনা অভিমুখে মার্চের ঘোষণা দিতে বাধ্য হতে পারি। এরপরেও যদি সরকার আমাদের দাবি মেনে না নেয়, আমরণ অনশন কর্মসূচিরও চিন্তাভাবনা করছি।
মন্তব্য করুন
২০২৬ সালের হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি, হজ এজেন্সি, হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার উদ্দেশ্যে সময় বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশেষ বিবেচনায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।
এ সময়ের মধ্যে হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন করে তাদের হজ গমন নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর বাংলাদেশের হজের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।
সৌদি আরবের রোডম্যাপ অনুযায়ী হজযাত্রী নিবন্ধনের শেষ সময় ছিল রোববার। এ সময়ের মধ্যে ৬০ হাজারের মতো হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন।
এখনও অনেক হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমান আছেন বলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়। তারা নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর দাবি জানান।
সময় শেষ হওয়ার পরও এখনো কত সংখ্যক হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমান আছেন- এ বিষয়ে তথ্য জানানোর জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোর কাছে চিঠিও পাঠানো হয়। এজেন্সিগুলো মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তথ্য পাঠায়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী এখনো অপেক্ষমান আছেন বলে এজেন্সিগুলো জানিয়েছে।
নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে সোমবার (১৩ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সৌদি সরকারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে। এই বৈঠকে হয়তো তারা আমাদের কাছে জানতে চাইবেন, কতজন কতজন নিবন্ধিত হয়েছেন কতজনের ভাউচার হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা আশাবাদী, সময় একটু বাড়তে পারে তারা যদি অ্যালাউ করেন। আমরা তাদের সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করবো।
সাড়ে তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে গত ২৭ জুলাই থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু হয়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সরকারি এবং ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
উভয় ক্ষেত্রে তিনটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক নিবন্ধিত হজযাত্রীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্যাকেজের বাকি টাকা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।
মন্তব্য করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | BCN Channel
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি শামীম খান (৩০)’কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০।
র্যাব-১০ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অদ্য (০৩ অক্টোবর ২০২৫) রাত আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটের সময় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন ভাগ্যকুল এলাকায় পরিকল্পিত অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) এর ৮(ক) ধারায় সাজাপ্রাপ্ত ও পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি শামীম খান (৩০), পিতা- ফজলু খান, সাং- ভাগ্যকুল, থানা- শ্রীনগর, জেলা- মুন্সীগঞ্জ—কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত শামীম খান দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে তার অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব-১০ নিশ্চিত করেছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে।
📍 স্থান: ভাগ্যকুল, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
🗓️ তারিখ: ০৩ অক্টোবর ২০২৫
📰 সংবাদদাতা: BCN Channel নিউজ ডেস্ক
মন্তব্য করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, BCN নিউজ
ফরিদপুর: ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আলোচিত জাকু মাতুব্বর (৫৫) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি উসমান খা (৩৫)’কে মাদারীপুরের কুনিয়ার হাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব-১০ ও র্যাব-৮ এর যৌথ আভিযানিক দল এই অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার সোনাখোলা এলাকায় কুতুব (৪৫) নামের এক ব্যক্তির ভ্যান নেওয়া সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ চলাকালে উসমান খা (৩৫)সহ অন্যান্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় জাকু মাতুব্বর (৫৫) গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ১০ জন, যাদের মধ্যে রয়েছেন— শাহালী মাতুব্বর (৬০), সুমন মাতুব্বর (৩০), রোমান মাতুব্বর (১৬), বিজয় মাতুব্বর (১৬), মেহেদী মাতুব্বর (২২), সাদ্দাম মাতুব্বর (২২), উজ্জল মাতুব্বর (২৩), সাহবুদ্দিন মোল্লা (৩৫), রাকিব মাতুব্বর (২৫) এবং ইলাহী মাতুব্বর (৪৫)।
ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং–১৪, তারিখ–২৯/০৯/২০২৫,ধারা–১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৫০৬(২)/১১৪ পেনাল কোড)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-১০ এর সহায়তা চান।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব-১০ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে। পরে গত ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে র্যাব-১০ ও র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে মাদারীপুর সদর থানার কুনিয়ার হাট এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের এজাহারনামীয় আসামি উসমান খা (৩৫), পিতা— বালা খা, সাং— সোনাখোলা, থানা— ভাঙ্গা, জেলা— ফরিদপুরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফেসবুক ক্যাপশন:
🔴 ভাঙ্গায় জাকু মাতুব্বর হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার!
র্যাব-১০ ও র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে মাদারীপুর থেকে ধরা পড়ল মূল আসামি উসমান খা।
#RAB10 #RAB8 #ভাঙ্গা #ফরিদপুর #BCN_News #হত্যা_মামলা
মন্তব্য করুন
সংবাদ প্রতিবেদন:
নিজস্ব প্রতিবেদক │ ফরিদপুর
নারী নির্যাতনবিরোধী অভিযানে আবারও সাফল্য দেখাল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০। ফরিদপুরে আলোচিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় মূল আসামি মো. মশিউর রহমান পুলক (২৬)-কে গ্রেফতার করেছে সংস্থাটি।
র্যাব-১০ এর সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল ১২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১১টা ২৫ মিনিটে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এজাহারনামীয় আসামি মশিউর রহমান পুলককে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক জানান, নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধী যেই হোক, আইনের আওতায় আনা হবে।
জানা গেছে, গত ১ জুন ২০২৫ তারিখে ফরিদপুর শহরের নিউমার্কেট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামি পুলক প্রতারণার মাধ্যমে ভিকটিমকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। পরে পুলকসহ আরও কয়েকজন মিলে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভিকটিম নিজেই ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং–০৬, তারিখ–০৫/০৬/২০২৫ খ্রি.), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ৯(৩) তৎসহ দণ্ডবিধির ৩৪৩/৫০৬ ধারায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১০ এর সহায়তা কামনা করে একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে র্যাব-১০ এর গোয়েন্দা দল আসামিকে শনাক্ত ও গ্রেফতারে নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি চালিয়ে সফল হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১০।
র্যাব-১০ বলেছে, “মহিলা ও শিশু নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ছোট ভূমির একটি দেশ। আয়তনে ইতালির অর্ধেক।
মন্তব্য করুন
রোববার (১২ অক্টোবর) ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোটার এলাকা স্থানান্তর হলেও আট মাসের মাথায় তা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলো।
গুলশান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রতিভা বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) মিরপুর থেকে গুলশান এলাকার ভোটার হয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গুলশান-২ এর ভোটার হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আসন্ন নির্বাচনে গুলশান থেকে ভোট দেবেন।’
আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে পারে। নির্বাচন সামনে রেখে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়। এসময় নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি মৃতদের কর্তন ও স্থানান্তরের আবেদনও নেওয়া হয়।
বর্তমানে ১২ কোটি ৬৩ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে গুলশানা উপজেলা/ থানা অফিসারের কাছে এক ভোটার এলাকা থেকে অন্য ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন করেন প্রধান উপদেষ্টা। ১৭ ফেব্রুয়ারি ইসির এনআইডি উইং মহাপরিচালক তা অনুমোদন করেন এবং পরদিনই তা সংশোধন করে তথ্য হালনাগাদ করা হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানায় ভোটার হয়েছিলেন। আগের ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে এবার গুলশান-২ এর বাসভবনর ঠিকানায় গেলেন তিনি। নতুন ভোটার এলাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন।
আজ রোববার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এখন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার। ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদন করলে ইসির এনআইডি উইং তা অনুমোদনের পর ভোটার তালিকার আগের ঠিকানা থেকে স্থানান্তরিত নতুন আবেদনের ঠিকানায় যুক্ত করা হয় ভোটারের নাম। স্থানান্তরিত নতুন ঠিকানায় ভোট দিতে পারবেন তিনি।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক রুহুল আমিন মল্লিক বলেন, ভোটার স্থানান্তর একটি চলমান প্রক্রিয়া।
এজন্য বিধির নির্ধারিত ১৩ নম্বর ফরম স্বহস্তে পূরণ করে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ নির্বাচন অফিসে জমা দিতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন যাচাই করে এনআইডি উইংয়ের অনুমোদন পেলে ভোটার এলাকা পরিবর্তন করে এআইডি সংশোধন করে ইসি।
ভোটার হওয়ার সময় নাগরিকদের বর্তমান ঠিকানায় ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়। ভোটের সময় এ ঠিকানায় ভোট দিতে পারেন তিনি।
মন্তব্য করুন
২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়ার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশ শিক্ষকদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে।
একই সময়ে সেখানে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দও পাওয়া যায়। জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডে শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ অ্যাকশনে যায়। শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। তবে শিক্ষকরা দফায় দফায় রাস্তায় ফিরে এসে অবস্থান নিচ্ছেন এবং স্লোগান দিচ্ছেন।
দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ সড়ক থেকে শিক্ষকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগে, দুপুরে প্রেস ক্লাবে সামনের সড়ক থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতারা।
শিক্ষক নেতাদের নেতৃত্বে একটি অংশ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে চলে যায়। তবে আরেকটি পক্ষ প্রেস ক্লাবের সামনের অবস্থান অব্যাহত রাখতে চান। একই সঙ্গে তারা সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ করার ঘোষণা দেন। এতে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
শিক্ষক নেতাদের নেতৃত্বে একটি অংশ শহীদ মিনারের দিকে চলে যাওয়ার পর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাওয়া শিক্ষকদের আরেকটি অংশকে সরাতে অ্যাকশনে যায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন
এছাড়া নিবন্ধনের সুবিধার্থে আজ শনিবার ব্যাংক খোলা রাখা হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ হাজার ৭৩৬ জন হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৮২৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা ১৫ হাজার ৯০৮ জন।
চলতি বছর বাংলাদেশের হজের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। সে হিসাবে এখন পর্যন্ত ১৫ শতাংশের মতো হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।
সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী হজের নিবন্ধন ১২ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো এক তাগিদপত্রে জানানো হয়েছে, সৌদি সরকার ঘোষিত হজের রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৬ সালের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আগামী ১২ অক্টোবর শেষ হবে। কিন্তু তালিকার ৩২৯টি এজেন্সি কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন করেনি।
‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬’ অনুযায়ী একটি এজেন্সি ন্যূনতম ৪৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করবে। এজেন্সির যোগ্য তালিকা প্রকাশের পত্রে উল্লেখিত শর্ত মোতাবেক কোনো এজেন্সি হজ ২০২৬ মৌসুমে যৌক্তিক কারণ ছাড়া হজযাত্রীর নিবন্ধন (প্রাক-নিবন্ধন নয়) না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্য চিঠিতে বলা হয়, ৪৮টি এজেন্সি কোনো হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন ও প্রাথমিক নিবন্ধন করেনি। ‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬’ এর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি এজেন্সি ন্যূনতম ৪৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করবে।
এজেন্সির যোগ্য তালিকা প্রকাশের পত্রে উল্লেখিত শর্ত মোতাবেক কোনো এজেন্সি হজ ২০২৬ মৌসুমে যৌক্তিক কারণ ছাড়া হজযাত্রীর নিবন্ধন (প্রাক-নিবন্ধন নয়) না করলে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ২৬ মে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) -এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, ওমরাহ করায় অনেকেই হজ পালনে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে যে ওমরাহ করলে হজ করা লাগবে না।
তিনি বলেন, আশা করছি শেষ মুহূর্তে নিবন্ধনের সংখ্যা বাড়বে। তাছাড়া সবকিছু এবার আগেভাগে হওয়ায় অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না।
শনিবার ব্যাংক খোলা
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে হজে গমনেচ্ছুদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধনের সুবিধার্থে আজ শনিবার হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন
ঢাকা, ৬ অক্টোবর ২০২৫ (নিজস্ব প্রতিবেদক):
রাজধানীর ডেমরায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০ এর অভিযানে ৫ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের ইয়াবাসহ তিনজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা অনুমান ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে ডিএমপি’র ডেমরা থানাধীন পশ্চিম বক্সনগর ব্যাংক কলোনি এলাকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১,৬৬৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫ লক্ষ ১০০ টাকা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—
১। মোঃ নুর আলম (৫০), পিতা- মৃত সামছুল হক, সাং- বালুমোড়া, থানা- হাজিগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর।
২। মোঃ জসিম উদ্দিন স্বপন (৪৫), পিতা- হাজী আবুল কাশেম, সাং- পশ্চিম বক্সনগর, থানা- ডেমরা, ডিএমপি, ঢাকা।
৩। মোঃ কাউছার পারভেজ (২৫), পিতা- মোঃ সিদ্দিক, সাং- কচুবনিয়া, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছেন যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিলেন।
উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও অন্যান্য আলামতসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং তাদের ডেমরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১০ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “মাদক সমাজের ভয়াবহ বিষফোঁড়া। এটি যুব সমাজকে ধ্বংস করছে এবং পরিবার ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।” র্যাব মাদক নির্মূলে “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করে দৃঢ়ভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, ভবিষ্যতেও মাদক, অস্ত্র, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দেশের অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হত্যা, ছিনতাই, অপহরণ ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে র্যাব সাধারণ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে। এছাড়াও, সময়োপযোগী অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় এনে সংস্থাটি ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০ ও র্যাব-৪ এর একটি বিশেষ যৌথ অভিযানে ঝিনাইদহ জেলার বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও দীর্ঘদিন পলাতক থাকা আসামি মো. লিয়াকত শেখ @ লিয়া (৪২), পিতা- মো. রহমত শেখ, সাং- নিমতলা, থানা- রাজবাড়ী সদর, জেলা- রাজবাড়ী’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ জেলা শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে একটি পরিত্যক্ত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তে জানা যায়, উক্ত মোটরসাইকেলটি ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম এর মালিকানাধীন। তবে ঘটনাস্থলে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়, যা বিষয়টিকে আরও রহস্যজনক করে তোলে।
পরবর্তী অনুসন্ধানে জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যায় ইফতারের পর এসআই মিরাজুল ইসলাম প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কাগজপত্র, সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত পিস্তল, গুলি ও ম্যাগাজিনসহ নিজ মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থল ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু কর্মস্থলে তিনি আর পৌঁছাননি এবং এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন।
পরদিন, ২৪ আগস্ট সকালে ঝিনাইদহ ভেটেরিনারি কলেজের পূর্ব পাশের একটি পানি ভর্তি ডোবা থেকে পুলিশ তাঁর পোশাক পরিহিত হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে। সন্ত্রাসীরা তার কাছে থাকা অস্ত্র, গুলি, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য সরকারি মালামাল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৫ সালের ৭ জুলাই ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, প্রথম আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালত মামলার আসামি মো. লিয়াকত শেখ @ লিয়া’কে দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। র্যাবের গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রমের মাধ্যমে পলাতক এই সাজাপ্রাপ্ত আসামি লিয়াকত হোসেন শেখ @ লিয়া (৪২)’কে চিহ্নিত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
অদ্য ০৭/১০/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র্যাব-৪ এর সহযোগীতায় ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন চরডাউটিয়া এলাকা হতে উক্ত মৃত্যুদন্ড সাজা পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামি লিয়াকত শেখ @ লিয়া (৪২)’কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি লিয়াকত শেখ @ লিয়া এর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা সহ ০৬ টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। র্যাব সন্ত্রাস, হত্যা ও চাঞ্চল্যকর মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইল এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০ এর অভিযানে ১০৫০ পিস ইয়াবাসহ দুইজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
র্যাব জানায়, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল ০৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ২৩টা ৩৫ মিনিটে ডিএমপি, ঢাকার মাতুয়াইল এলাকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মাদক ব্যবসায়ী দুইজনকে ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—
১. হাফিজুল্লাহ (২২), পিতা- হাবিবুল্লাহ, সাং- মহেশখালীয়া পাড়া, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার।
২. মো. শিহাবুল হাসান (২৪), পিতা- মো. জিল্লুর রহমান, সাং- মদনপুর, থানা- মনিরামপুর, জেলা- যশোর।
র্যাব জানায়, আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সংগ্রহ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজুর জন্য তাদেরকে যাত্রাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, “মাদক সমাজের ভয়াবহ বিষফোঁড়া, যা তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।” র্যাব “মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স” নীতিতে অবিচল থেকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে মাদক, অস্ত্র, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. অসীম শেখ (২২)-কে ফরিদপুরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০। র্যাব জানায়, গত ১ জুন ২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমানিক ২টা ১০ মিনিটের দিকে ফরিদপুর শহরের নিউমার্কেট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে প্রতারণার মাধ্যমে এক নারীকে আটকে রেখে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি নথিভুক্ত হয় থানা মামলা নং-০৬, তারিখ-০৫/০৬/২০২৫, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৩) তৎসহ ৩৪৩/৫০৬ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ অনুসারে।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গণধর্ষণে জড়িত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে।
এর ধারাবাহিকতায় গত ৭ অক্টোবর ২০২৫ রাত আনুমানিক ৮টা ৩০ মিনিটে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত মামলার আসামি মো. অসীম শেখ (২২), পিতা- আব্দুল সালাম শেখ, সাং- মৃগী, থানা- কোতয়ালী, জেলা- ফরিদপুর-কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র
মন্তব্য করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলায় পৃথক দুইটি অভিযানে আনুমানিক ২১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা মূল্যমানের ৭১ কেজি গাঁজাসহ দুইজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০।
র্যাব জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের “জিরো টলারেন্স” নীতির অংশ হিসেবে র্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১০ এর একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৮ ও ৯ অক্টোবর রাতে দুইটি সফল অভিযান পরিচালনা করে।
প্রথম অভিযান: সিদ্ধিরগঞ্জে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার
গতকাল (০৮ অক্টোবর ২০২৫) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সানারপাড় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২৫ কেজি গাঁজাসহ একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতের নাম মো. ফারুক (৪৫)। তিনি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার শঙ্কুচাইল গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে।
দ্বিতীয় অভিযান: কেরাণীগঞ্জে ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার
পরবর্তীতে আজ (০৯ অক্টোবর ২০২৫) রাত আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী এলাকায় আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
এ অভিযানে প্রায় ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ৪৬ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আরও একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতের নাম মো. আল আমিন (৩৩)। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার ভাগ্যকুল গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা বিভিন্ন উৎস থেকে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদক সংগ্রহ করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করত।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে র্যাব জানায়।
র্যাব-১০ জানায়, মাদক সমাজের ভয়াবহ ব্যাধি হিসেবে যুবসমাজকে ধ্বংস করছে এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই মাদক নির্মূলে “জিরো টলারেন্স” নীতির বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতেও র্যাবের এ ধরনের অভিযান চলবে।
মন্তব্য করুন
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। মাদকদ্রব্যের ভয়াল ছোবল থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষার লক্ষ্যে র্যাবের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
অভিযানের বিবরণ:
গতকাল ০৮/১০/২০২৫ তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৬.১০ ঘটিকায়, র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপি, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলারপাড় এলাকায় পাকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করে।
অভিযানের সময় হানিফ পরিবহণের একটি বাস হতে মোঃ আয়াছ (৩২), পিতা- সৈয়দ হোসেন, সাং- উত্তর নোয়াপাড়া, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার’কে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, সে বিশেষ পদ্ধতিতে ইয়াবা ট্যাবলেট সেবনপূর্বক পেটের ভিতর বহন করছিল। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এক্স-রে করান। এক্স-রে রিপোর্টে পেটের মধ্যে বস্তু সদৃশ কিছু দেখা যায়।
চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে বিশেষ পদ্ধতিতে আসামিকে মলত্যাগ করানো হলে, সাদা স্বচ্ছ কসটেপে মোড়ানো এবং স্বচ্ছ জিপার ব্যাগে রক্ষিত মোট ২,৯০০ (দুই হাজার নয়শত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক বাজারমূল্য ৮,৭০,০০০/- (আট লক্ষ সত্তর হাজার টাকা)।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রকাশ:
গ্রেফতারকৃত মোঃ আয়াছ একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল।
র্যাবের মন্তব্য:
মাদক সমাজের সবচেয়ে ভয়াবহ বিষফোঁড়া, যা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করছে, পারিবারিক অস্থিরতা সৃষ্টি করছে এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
র্যাব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—
“মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন ছাড়া সমাজে শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
র্যাব-১০ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতা নিয়ে মাদক, অস্ত্র, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য করুন
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদসহ স্টেকহোল্ডারদের এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ কথা বলেন গভর্নর।
বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ক্যাশ ফ্লো বৃদ্ধির কারণে প্রতিবছর টাকা ছাপাতে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। ক্যাশলেস লেনদেন হলে এ খরচ কমে আসবে বলে মন্তব্য করেন আহসান এইচ মনসুর।
মন্তব্য করুন
সোমবার (৬ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় নৌবাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ফরমাশেখানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রিপনকে গ্রেফতার করে নৌবাহিনী ও পুলিশ।
এসময় গ্রেফতার রিপনের বাড়ি তল্লাশি করে একটি ৭.৬ মিমি পিস্তল, ৫ রাউন্ড তাজা গোলা, একটি ম্যাগজিন এবং তিনটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। রিপন খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ ও মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
অভিযান শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জব্দ করা অস্ত্র এবং গ্রেফতার রিপনকে দিঘলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।
জনজীবনের নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিতে নৌবাহিনীর এ ধরনের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৩৮০ কোটি ডলার। রোববার (৫ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানির হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে রপ্তানি হয়েছে এক হাজার ২৩১ কোটি ডলারের পণ্য। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল এক হাজার ১৬৫ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এছাড়া কৃষি পণ্যে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং প্লাস্টিক পণ্যে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির দেখা পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে কার্পেট রপ্তানি ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং হিমায়িত মাছ রপ্তানি ১২ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পোশাকে শুল্কের ধাক্কা-
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ধাক্কার প্রভাবে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়েও প্রতিফলিত হয়েছে।
এ ব্যবসায়ী নেতা জানান, তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে, কারণ বেশির ভাগ ক্রেতাই নতুন করে কোনো ক্রয়াদেশ দিচ্ছেন না। তারা এখন অতিরিক্ত ২০ শতাংশ রেসিপ্রোক্যাল শুল্কের একটি অংশ বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
রপ্তানিকারকদের পক্ষে এ অতিরিক্ত চাপ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ তারা এরই মধ্যে প্রাথমিক শুল্ক সমন্বয় এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাবসহ বিভিন্ন ধরনের চাপে রয়েছেন।
এছাড়া, বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অন্যান্য বাজারেও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে। কারণ চীনা ও ভারতীয় প্রস্তুতকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যোগ করেন বিকেএমইএ সভাপতি।
হাতেম বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, এ ধীরগতি আগামী দুই থেকে তিন মাস অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নতুন শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে, আমাদের রপ্তানি আবারও পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করছি। এ সময়টায় রপ্তানিকারকদের ধৈর্য্য সহকারে ক্রেতাদের যেকোনো ধরনের চাপ মোকাবিলা করতে হবে।’
মন্তব্য করুন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, গত ২ অক্টোবর রাতে গাজীপুরের ধীরাশ্রমে মো. আব্দুল সোবহানের বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল প্রবেশ করে। ধারালো রামদা, চাপাতি, কিরিচ, ছোরা, লোহার রড ও বড় কাটারসহ অস্ত্র নিয়ে ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের বেঁধে রেখে প্রায় অর্ধঘণ্টা তাণ্ডব চালায়।
তারা স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ২২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার মালামাল লুট করে। এসময় বাড়ির কয়েকজন সদস্য ও ভাড়াটিয়াকে শারীরিকভাবে আঘাতও করা হয়। এ ঘটনায় গাজীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
সিআইডি ছায়া তদন্তের অংশ হিসেবে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, ছয়টি ককটেল, ১১টি টর্চলাইট ও একটি কাটার উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
তদন্তে জানা গেছে, মনিরের বিরুদ্ধে আগে থেকেই দুটি মামলা রয়েছে, ২০০৭ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানায় চুরি মামলার অভিযোগ ও ২০১৭ সালে ঢাকার সবুজবাগ থানায় ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ একাধিক ধারায় মামলা।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন আরও জানান, গ্রেফতার মনিরের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিআইডি গাজীপুর জেলা ও মেট্রো ইউনিট বলছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে তারা সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এরই ধারাবাহিকতায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটগুলো কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসব যৌথ অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, দুস্কৃতিকারী, অস্ত্রধারী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, শিশু পাচারকারী, জুয়াড়ি, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ মোট ৬৯ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি ম্যাগাজিন, তিনটি ককটেল, ২৭ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, মোবাইলফোনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ৬২টি জেলায় সার্বক্ষণিক টহলের মাধ্যমে প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে পূজা অর্চনার প্রতিটি ধাপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়াও, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
মন্তব্য করুন
#চাঁদার টাকায় কেনা হচ্ছে অস্ত্র, চলছে সদস্য প্রশিক্ষণ
#ভারতের অভ্যন্তরে ৬টি ক্যাম্প রয়েছে ইউপিডিএফের
#ভারতে বসেই সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রসীত বিকাশ খিসা)
সবুজ চাদরে ঢাকা শান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম মাঝেমধ্যেই অশান্ত হয়ে ওঠে। বিভেদ আর অবিশ্বাসের ঘেরাটোপে পড়ে প্রায়ই সংঘর্ষ, হানাহানিতে জড়িয়ে পড়েন বাঙালি আর পাহাড়িরা। বিশেষ করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর বিভিন্ন ইস্যুতে বারবার অশান্ত হয়েছে পাহাড়, ঝড়েছে রক্ত।
সরবশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির গুইমারা এলাকায় ডাকা অবরোধে সংঘর্ষ-গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশ, সেনাসদস্যসহ অনেকেই।
এ ঘটনায় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করছে প্রশাসন।
প্রশাসন বলছে, পার্শ্ববর্তী একটি দেশের পরোক্ষ সহযোগিতায় তিন পার্বত্য জেলাকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে ইউপিডিএফ। তাদের মূল শক্তি হচ্ছে চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে শক্তি খর্ব হবে তাদের।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাতিল করে সেনাবাহিনীকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিলে পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি ফিরবে। আর চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে শক্তি খর্ব হবে ইউপিডিএফের।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, তিন পার্বত্য জেলায় চাঁদাবাজির মাধ্যমে বছরে ৩৫০ কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করে ইউপিডিএফ। চাঁদাবাজির টাকায় অস্ত্র সংগ্রহের পাশাপাশি দলের সশস্ত্র সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। খাগড়াছড়ির সীমান্ত সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে ইউপিডিএফের ছয়টি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প রয়েছে।
৪৫০ জনের মতো সশস্ত্র প্রশিক্ষিত সদস্য রয়েছে সংগঠনটির। তারা চার কোম্পানিতে বিভক্ত হয়ে পাহাড়জুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। চাঁদাবাজির শিকার বেশিরভাগ সাধারণ বাঙালি ও পাহাড়ি। আর ভারতে বসেই তিন পার্বত্য অঞ্চলে ইউপিডিএফকে নিয়ন্ত্রণ করেন দলের প্রধান প্রসীত বিকাশ খিসা।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি এবং বান্দরবানে বছরে ৩৫০ কোটি টাকার মতো চাঁদাবাজি করে ইউপিডিএফ। অনেকক্ষেত্রে রসিদ দিয়ে চাঁদা আদায় করে। দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, বার্ষিক কিংবা এককালীন চাঁদা আদায় করে ইউপিডিএফ।
সাধারণ মানুষ, বাজার, রিসোর্ট মালিক, ব্যবসায়ী, যানবাহন, সরকারি প্রকল্পের ঠিকাদার বাদেও অপহরণ করে মুক্তিপণের মাধ্যমেও চাঁদা আদায় করা হয়।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, রাঙামাটিতে বছরে ২৪১ কোটি, খাগড়াছড়িতে ৮৬ কোটি এবং বান্দরবানে ২১ কোটি টাকার মতো চাঁদাবাজি করে ইউপিডিএফ। সবচেয়ে বেশি চাঁদা আদায় করে সরকারি প্রকল্পের ঠিকাদারদের কাছ থেকে। বিগত ১৬ বছরে তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের দ্বারা ২৭৮ বারেরমতো অপহরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৩২ জন অপহরণের শিকার হন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাগড়াছড়িতে সরকারি প্রকল্পের কাজ করা এক ঠিকাদার বলেন, ‘পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বেশি চাঁদাদাবির কারণে আমার প্রকল্পের কাজ অনেকদিন বন্ধ রেখেছি। পরে বাধ্য হয়ে চাঁদা দিয়ে সমঝোতা করে কাজ উঠিয়ে এনেছি। ইউপিডিএফের লোকজন অস্ত্র দেখিয়ে এ চাঁদা আদায় করে।’
‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়ানো একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। খাগড়াছড়ির ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে পাহাড়কে অশান্ত করার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ। এ ব্যাপারে সব প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে। ভিডিও রয়েছে। সব ধরনের অপপ্রচার ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে পার্বত্য এলাকাকে রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
-ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ, কমান্ডার, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন
সাজেক এলাকার একজন রিসোর্ট ব্যবসায়ী বলেন, ‘ইউপিডিএফকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে এখানে ব্যবসা করি। এখানে ইউপিডিএফের চাঁদাবাজিটা ওপেনসিক্রেট। সাজেকের আশপাশে অনেক গহিন এলাকা আছে যেখানে সেনাবাহিনী ছাড়া অন্য কোনো সরকারি সংস্থার লোক যেতে পারেন না। এসব জায়গাজুড়ে ইউপিডিএফের ঘাঁটি রয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছি জানলে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাবে।’
বিগত ১৬ বছরে তিন পার্বত্য জেলায় ইউপিডিএফ এবং জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হন। এরমধ্যে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৮৯ বার আঞ্চলিক হত্যাকাণ্ডে উভয়পক্ষের মোট ১২৪ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হন।
একই সময়ে ২৯৬ বার গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে ২৮ জন নিহত হন। একই সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ২৬ বার গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে ১৪ জন সেনাসদস্যসহ ২১ জন আহত হন। নিহত হন ১৬ জন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাসংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে ছয়টি ক্যাম্প রয়েছে ইউপিডিএফের। এরমধ্যে পাঁচটি রয়েছে ভারতের ত্রিপুরার ধলাই জেলায়। এছাড়া খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি ও দীঘিনালা সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে রতন নগর, টুইচামা, নারায়ণপুর, পঞ্চ রতন, নারিকেল বাগান ও পূর্ব সাবরুম ক্যাম্প।
এসব ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষিত সদস্যরা দীঘিনালা থেকে সাজেক, মহালছড়ি থেকে কাউখালী, লক্ষ্মীছড়ি থেকে রামগড়, খাগড়াছড়ি থেকে মাটিরাঙ্গা পর্যন্ত ইউপিডিএফের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
তাদের সামরিক শাখায় সশস্ত্র কার্যক্রমের জন্য রয়েছে এলাকাভিত্তিক চারটি বিশেষ কোম্পানি। স্পেশাল-ফুয়াইত কোম্পানি, ফ্যান্টম-হাইল্যান্ডস ড্রাগন কোম্পানি, রেঞ্জার-জাগুয়ার কোম্পানি এবং পাইওনিয়ার কোম্পানি।
‘ইউপিডিএফের কার্যক্রম পুরোপুরিই চাঁদাবাজিনির্ভর। চাঁদার টাকায় তারা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের যে সামরিক শক্তি রয়েছে, তাতে আমাদের প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর কাছে কিছুই না। মূলত তারা (ইউপিডিএফ) ভারতের ইন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত।’ -অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির
ইউপিডিএফের বর্তমান সামরিক প্রধান হলেন উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা। সংগঠনের অন্যদের মধ্যে রয়েছেন অর্থ সম্পাদক অর্কিড চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক সচিব চাকমা, সাধারণ সম্পাদক রবি সংকর চাকমা এবং সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসিরের। ২০১১ সালে তিনি অবসরে যান। ১৯৯৩-৯৪ সালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা রিজিয়নে পদায়িত ছিলেন তিনি।
ইউপিডিএফের কার্যক্রমের বিষয়ে হাসান নাসির বলেন, ‘ইউপিডিএফের কার্যক্রম পুরোপুরিই চাঁদাবাজিনির্ভর। চাঁদার টাকায় তারা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের যে সামরিক শক্তি রয়েছে, তাতে আমাদের প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর কাছে কিছুই না। মূলত তারা (ইউপিডিএফ) ভারতের ইন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত।’
হাসান নাসির আরও বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট পরবর্তীসময়ে সব দিকে ফেল করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইউপিডিএফকে দিয়ে লাস্ট কার্ডটা খেলে দিয়েছে ভারত। এতদিন তারা (ভারত) ইউপিডিএফকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। মূলত ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তি চুক্তি কাজে লাগিয়ে সেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বের করে দিয়ে ইউপিডিএফকে শক্তিশালী করেছে।’
পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে কিছু উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে জানিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান নাসির বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তিটি বাতিল করে পাহাড়ে সেনাবাহিনীকে আগের নেতৃত্বে ফিরিয়ে নিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিকে দায়িত্ব দিতে হবে।
পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের হুমকি থেকে রক্ষা করতে হলে পাহাড়ে বাঙালি উপস্থিতি বাড়াতে হবে। সেনাক্যাম্পগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলের সব সরকারি প্রকল্পে বাঙালিদের শতভাগ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সংগঠনের সশস্ত্র সদস্যদের ধরে মূলোৎপাটন করতে হবে।
এ বিষয়ে কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘খাগড়াছড়ির সীমান্তের অনেক পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনী বাদে অন্য বাহিনীগুলো যেতে পারেন না। বিশেষ করে সাজেক, লক্ষ্মীছড়ির আশপাশের নির্জন পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ইউপিডিএফের ঘাঁটি রয়েছে। তারা সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতে যাওয়া-আসা করে। ত্রিপুরায় জায়গা-জমি, বাড়িঘর রয়েছে ইউপিডিএফ নেতাদের। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকেও বিষয়গুলো আলোচনা হয়।
মাঝেমধ্যে সে দেশের পুলিশের হাতে ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অস্ত্রসহ আটক হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।’ উদাহরণ টেনে ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের অরুন্ধতীনগরে ইউপিডিএফের সশস্ত্র কমান্ডার সমাজপ্রিয় চাকমা, অরুণাচল প্রদেশে একে-৪৭ রাইফেলসহ ইউপিডিএফের সশস্ত্র সদস্য রাজু চাকমা আটক হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইউপিডিএফের প্রত্যক্ষ আয়ের কোনো উৎস নেই। তারা পার্বত্য অঞ্চলে চাঁদাবাজি করে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। চাঁদাবাজির টাকায় অস্ত্র সংগ্রহ করে। ইউপিডিএফ সদস্যরা সাধারণ পাহাড়িদের সঙ্গে মিশে থাকে, যে কারণে তাদের শনাক্ত করা কিছুটা কষ্টসাধ্য। পাহাড়ে আমাদের শক্ত গোয়েন্দা জাল রয়েছে। এরমধ্যে অনেক অভিযানে অসংখ্য অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে নিয়মিত চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ জানাতে আসে না। যে কারণে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। তবে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকে। অনেক ঘটনায় মামলা হয়, অনেকে গ্রেফতারও হয়। বেশকিছু মামলায় অনেকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়েছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত বিষয়গুলো নিয়ে সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা গণমাধ্যমকে বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসী যেসব সংগঠন রয়েছে, বিশেষ করে ইউপিডিএফ পার্বত্য এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। গুইমারা এলাকায় সব ধরনের সশস্ত্র কার্যকলাপ এবং পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির পেছনে যারাই দায়ী সবসময় তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়।
অস্ত্রসহ তাদের গ্রেফতার করে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়ানো একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। খাগড়াছড়ির ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে পাহাড়কে অশান্ত করার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ। এ ব্যাপারে সব প্রমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে। ভিডিও রয়েছে। সব ধরনের অপপ্রচার ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে পার্বত্য এলাকাকে রক্ষায় আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর জন্য দ্বৈতনীতি চলছে। একটি ধর্ষণের ঘটনায় জুম্ম ছাত্র-জনতা যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল আমরা তাতে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু ঘটনার আড়ালে তিনজনকে হত্যা করে ঘটনার দায় ইউপিডিএফের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
চাঁদাবাজির বিষয়ে অংগ্য মারমা বলেন, ‘চাঁদাবাজি কিংবা ভারতে ট্রেনিং ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেওয়ার ঘটনা সত্যি নয়। তবে দল চালাতে টাকা লাগে।
আমরা আমাদের শুভার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দল চালাই। দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও পার্টির লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংগঠন পরিচালনা করে। তাহলে তাদেরগুলোকেও চাঁদাবাজি বলতে হবে।’
অংগ্য মারমা বলেন, পার্বত্য এলাকায় ধর্ষণের ঘটনার মেডিকেল রিপোর্ট কখনো পজিটিভ আসে না। এটি অলিখিত নির্দেশনা। পাহাড়ে ধর্ষণের ঘটনায় মেডিকেল রিপোর্ট পজিটিভ দেওয়ার জন্য আমরা আগে থেকেই বলে আসছি।’
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ির গুইমারায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে এক মারমা কিশোরী নিখোঁজ হয়। ওইদিন রাত ১১টার দিকে একটি ক্ষেত থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন স্বজনরা।
ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে-এমন অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে জুম্ম-ছাত্র জনতার ব্যানারে গত শনিবার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচি কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
এরমধ্যে গত রোববার গুইমারার রামসু বাজারে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় ১৩ জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
মন্তব্য করুন
এ অবস্থায় দেশের তিন বিভাগে নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যার আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি আগামী দুদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদী ফেনী জেলায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিনদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
ময়মনসিংহ বিভাগের সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদীর পানি সমতল আগামী তিনদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদী শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাফরুলের ইব্রাহিমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।
জসীম উদ্দিন খান বলেন, প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি জোছনা খাতুন। এর আগে চক্রের আরেক সদস্য মিলন মিয়াকে ফরিদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
তদন্তে জানা গেছে, বিদেশে পাঠানোর নামে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার পর তাদের হাতে ভুয়া ভিসা ধরিয়ে দেওয়া হতো। অনেক ক্ষেত্রে পাসপোর্ট আটকে রেখে হয়রানি করা হতো।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান আরও বলেন, প্রতারক চক্রটির নেটওয়ার্ক নড়াইল, ফরিদপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিস্তৃত। ইতিমধ্যে শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বেশকিছু অ্যাকাউন্টে লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারের পর জোছনা খাতুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া তার মাদক কারবারিতে জড়িত থাকার তথ্যও পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্তে তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপসচিব তৌসিফ আহমেদ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর যোগদান পত্র দাখিল করবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় আওয়ামী লীগের এমন ঝটিকা মিছিল নিয়ে বেশ বিপাকে পুলিশ। শুরুর দিকে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা কম থাকলেও যত দিন গড়াচ্ছে মিছিল তত বড় হচ্ছে। কৌশলও বদলাচ্ছে তারা। একদল মিছিল করলে আরেক দল থাকছে আটক হলে তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকার পরেও খোদ ঢাকায় নিয়মিত এমন মিছিলে কিছুটা ‘বিব্রত’ অন্তর্বর্তী সরকার। মিছিল কেন্দ্র করে চাপে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রত্যাহার হয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের তিনজন কর্মকর্তা।
পুলিশ সূত্র জানায়, ডিএমপির কাছে গোপন তথ্য ছিল কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকাজুড়ে ঝটিকা মিছিল বের করবেন।
ওই তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর নির্দেশনায় অপরাধ বিভাগের আটজন উপ-কমিশনার ও অন্য ইউনিটের উপ-কমিশনারের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সকাল থেকে মাঠে তৎপর ছিলেন। পুলিশ বাধা দিলে মিছিলের পেছনে থাকা ব্যক্তিরা পুলিশের ওপর ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করবেন, ডিএমপির কাছে এমন গোয়েন্দা তথ্যও ছিল।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডিএমপির একাধিক অতিরিক্ত কমিশনার। তারা পুলিশ সদস্যদের তৎপর থাকতে বারবার ওয়াকিটকিতে দিকনির্দেশনা দেন। একপর্যায়ে একাধিক অতিরিক্ত কমিশনার মাঠপর্যায়ে তদারকিতে নামেন।
এরই অংশ হিসেবে ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলাম মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি পুলিশের দুটি টহল গাড়িসহ পাঁচটি গাড়ি থানা কম্পাউন্ডে দেখতে পান। অথচ এসব গাড়ি টহলে থাকার কথা। এ কারণে মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারকে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত এবং মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) রাকিবুজ্জামান ও এসআই মাসুদুর রহমানকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপি হেডকোয়ার্টার থেকে সব থানায় বার্তা দেওয়া হয়েছে- নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যেন কোনোভাবেই একত্র হতে না পারে। একত্র হওয়ার আগেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট থানা ও জোনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে না পারলে উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জেনে ঢাকার ৫০ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এক প্রকার আতঙ্কে আছেন। ডিএমপির একটি সূত্র বলেছে, ঝটিকা মিছিলের ব্যাপারে বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাদের গা-ছাড়া ভাব থাকায় ডিএমপি কমিশনার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ঝটিকা মিছিল সবচেয়ে বেশি হচ্ছে ঢাকায়। একদিনে তিনটি ঝটিকা মিছিলও হয়েছে। আর প্রতিটি মিছিলের পর আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগসহ তাদের অন্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফেসবুকে মিছিলের ভিডিও প্রকাশ করেন। আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমেও সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ এলাকায় আওয়ামী লীগের একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিলের পর ১১ জনকে আটক করে পুলিশ। ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর পৌনে ২টার দিকে কারওয়ান বাজারে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক সদস্য জড়ো হন। তারা সরকারবিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
সেখান থেকে ব্যানারসহ পটুয়াখালীর বাউফল থানা ছাত্রলীগের কর্মী মো. আবির হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করলে মোটরসাইকেলে আরেকটি দল এসে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীর ধানমন্ডি ও তেজগাঁওয়ে একযোগে জায়গায় ঝটিকা মিছিল বের করে।
শুধু দিনে নয়, রাতেও হচ্ছে এমন মিছিল। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে মতিঝিলের দিলকুশা ডিবিএল ভবনের সামনে ঝটিকা মিছিল করেন আওয়ামী লীগ দলের নেতাকর্মীরা। পুলিশ সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করে। এর তিনদিন আগে ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাংলামোটর ও গুলশানে ঝটিকা মিছিল করার সময় ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর মিরপুর দারুসসালাম এলাকায় ঝটিকা মিছিলের পর আওয়ামী লীগের ১৮ জনকে আটক করা হয়। ঢাকার বাইরে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতেও তাদের ঝটিকা মিছিল হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন কৌশল ও অর্থের বিনিময়ে মাঠের শক্তি দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগ এ ঝটিকা মিছিল করছে। মিছিল ঢাকায় হলেও এতে অংশ নেওয়া অধিকাংশ নেতাকর্মী ঢাকার বাইরের।
স্থানীয় লোকজন যাতে তাদের না চিনতে পারে এবং সহজে মিছিল করে চলে যেতে পারে, সেজন্য ঢাকার বাইরের নেতাকর্মীদের ঢাকায় আনা হচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপে মিছিলের নির্দেশনা দিচ্ছেন বিদেশে পালানো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে গ্রেফতার অনেকেই পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে তাদের বিদেশ থেকে নির্দেশনা ও অর্থ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার কোনো থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল হলে জবাবদিহি করতে হবে সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের। পরিদর্শকদের থানা থেকে প্রত্যাহারও করা হবে। ডিএমপির ৫০ থানার ওসি ও পরিদর্শককে এই কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্র বলছে, ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর বার্তায় বলা হয়, ‘যেসব থানা এলাকায় ঝটিকা মিছিল হবে, সেই থানার ওসিসহ সবাইকে সে বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে। তাদের দায়িত্বে অবহেলা ও শিথিলতার কারণে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হবে।’
ডিএমপি কমিশনার ওই বার্তা দেওয়ার দিনই শেরেবাংলা নগর থানার দুই পরিদর্শককে প্রত্যাহার করা হয়। সূত্র বলছে, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ৬০ ফিট ও শ্যামলীতে একাধিকবার ঝটিকা মিছিল হওয়ার কারণে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
ডিএমপির একটি সূত্র বলছে, ঝটিকা মিছিলের ব্যাপারে বিভিন্ন থানার কর্মকর্তাদের গা-ছাড়া ভাব থাকায় ডিএমপি কমিশনার এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে আলোচনা হয়।
কয়েকটি থানার কর্মকর্তা জানান, ডিএমপি কমিশনারের ওই বার্তার পর থানার পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ৫-১০ জন মিলে হঠাৎ কোনো সড়কে বা গলিতে কয়েক সেকেন্ডের মিছিল করলে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা সটকে পড়ে। ফলে তাৎক্ষণিক কিছু করা যায় না। পরে ছবি-ভিডিও দেখে গ্রেফতার করা হচ্ছে। আবার এক এলাকায় মিছিল করছে অন্য এলাকার লোক।
এ কারণে তাদের আটক করাও সহজ হচ্ছে না। তারপরও তারা আওয়ামী লীগের মিছিল যেন না হয়, সেই চেষ্টা করছেন। পুলিশ সদস্যরা এখন সব সময় ঝটিকা মিছিল নিয়ে টেনশনে রয়েছেন।
ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশের বিষয়ে মনিটরিং (নজরদারি) জোরদারের কথা জানিয়েছিল সরকার। এছাড়া এর নেপথ্যে যারা সক্রিয় রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ঝটিকা মিছিলসহ বেআইনি সমাবেশের বিষয়ে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। নেপথ্যে যারা সক্রিয় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম ও ঝটিকা মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের কোনো নিষ্ক্রিয়তা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
ঝটিকা মিছিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় ঢাকায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক।
কোনো কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল ঢাকায় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি যেন অবনতি না ঘটাতে পারে সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও সিটিটিসি কাজ করছে। মিছিল-পরবর্তী সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধরিয়ে দিতে পারলে জনপ্রতি পুলিশ পাবে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার।
বিষয়টি কতটুকু সত্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবে পুলিশ সদস্যরা ভালো কাজ করলে উৎসাহিত করা হয়। আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার প্রবিধান আইনিভাবে রয়েছে। কাজে উৎসাহিত করার জন্য তাদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হয়। তবে বিশেষভাবে কোনো একটি বিষয়ে কাজের জন্য পুরস্কৃত করার বিষয়টি জানা নেই।’
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি কয়েকটি মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, আইন অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই ঢাকায় ঝটিকা মিছিলকেন্দ্রিক নেতাকর্মীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও কার্যক্রম চালাচ্ছে।’
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘মিছিলে ঢাকার স্থানীয় নেতাকর্মীদের কম ব্যবহার করা হচ্ছে। ঢাকার কয়েকজন নেতৃত্ব দিলেও অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী ঢাকার বাইরে থেকে আসছে, যাতে তাদের সহজে শনাক্ত করা না যায়।
যেমন- ধানমন্ডির মিছিলটি করেছেন চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা, আর তেজগাঁওয়ের মিছিল করেছে বাগেরহাট ও খুলনার একটি গ্রুপ। এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই ঢাকার বাইরের। তবে মিছিলগুলো অর্গানাইজ করছেন ঢাকা মহানগরের নেতারাই। আমরা সজাগ, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত।’
মন্তব্য করুন
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকার নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও ছাত্রবৃত্তি প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‘ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির ভূমি’ হিসেবে পরিচিত। আজকের অনুষ্ঠান সেই মর্যাদাই পুনরায় দৃঢ় করলো। শিক্ষায় বিনিয়োগ মানে শুধু শিক্ষার্থীকে সহায়তা করা নয়, বরং জাতির ভবিষ্যৎ গঠন করা।
ঢাকায় বসবাসরত ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ঐক্য ও জ্ঞানের পথে এগিয়ে যাওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখন চিকিৎসকরা ঢাকার বাইরে যেতে চান না।
অদূর কেরানীগঞ্জ থেকেও রাজধানীতে আসার জন্য তদবির আসে। ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখনো অনুন্নত জেলা। এর উন্নয়নে জেলার প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় জেলা সমিতিগুলোকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক না হয়ে কালেকটিভ স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানান অর্থ উপদেষ্টা। নিজেদের মধ্যে মারামারি বন্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবাইকে সচেতন হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি এম এ খালেক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া দীর্ঘদিন ধরে দেশকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, শিক্ষাবিদ ও শিল্পী উপহার দিয়ে আসছে।
আজ আমরা প্রতিজ্ঞা করছি- ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে তার মেধা ও অবদানের জন্যই চিনবে সবাই, কোনো নেতিবাচক ধারণার জন্য নয়। এই বৃত্তি এবং নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা প্রদানের মাধ্যমে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী হিসেবে নাগরিক গৌরবের বীজ রোপণ করছি, যা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
স্বাগত বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকার সাধারণ সম্পাদক মো. খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আজকের এ সমাবেশ কেবল উদযাপন নয়, বরং একটি নতুন আন্দোলনের সূচনা।
আমরা একটি আন্দোলনের সূচনা করছি। বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার আন্দোলন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক উন্নয়নে আমাদের সাফল্য সবাইকে জানাবো। এই অনুষ্ঠান স্মরণীয় করে তোলার জন্য দাতা, স্বেচ্ছাসেবক ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে উচ্চশিক্ষায় কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ৩১২টি বৃত্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে অনার্স স্তরে ২৫টি, এইচএসসি স্তরে ১৮২টি এবং এসএসসি স্তরে ১০৫টি বৃত্তি দেওয়া হয়। এসব বৃত্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষায় উৎকর্ষ অর্জনে অনুপ্রেরণা দেবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরবের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাকি আছে এক মাসেরও কম। অথচ এখনো হজ প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারেনি সরকার। প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় হজযাত্রী নিবন্ধনে সাড়া নেই।
সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন গত ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। দেড় মাসেরও বেশি সময়ে মাত্র এক হাজারের কিছু বেশি হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূলত বিমান ভাড়া নির্ধারিত না হওয়ায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা যাচ্ছে না। বিমান ভাড়া নির্ধারণের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের জন্য দরকষাকষি চলছে। দু-পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে ভাড়া নির্ধারণে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পরবেন।
আগামী বছর হজে যেতে চার লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন গত ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৪১ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৪০ জন হজযাত্রী প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন।
হজ প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় অর্থাৎ কত খরচ হবে সেটি নির্ধারিত না হওয়ায় হজযাত্রীরা নিবন্ধনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, বিমান ভাড়া নির্ধারণে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
গত বছর বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। এবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজের খরচ কমাতে চায়, তাই বিমান ভাড়া দেড় লাখের নিচে নির্ধারণের অনুরোধ জানান তারা।
বিমান হজযাত্রীদের কাছ থেকে যে ভাড়া নেয় তা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ধর্ম মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের কল্যাণে কাজ করে, তাই যৌক্তিক বিমান ভাড়া নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছি বিমানকে।
কিন্তু টাকার বিপরীতে রিয়ালের দাম বাড়াসহ বিভিন্ন কারণে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিমান। বিমান এবার হজযাত্রীদের জন্য ভাড়া এক লাখ ৭১ হাজার (শুল্ক বাদে) এবং এক লাখ ৮০ হাজার (শুল্ক সহ) টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এটা মেনে নেয়নি ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিমান ভাড়া এক হাজার ৩০০ ডলার নির্ধারণ করতে চায়, কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয়ে চায় ৮০০ থেকে ১০০০ ডলারের মধ্যে। ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিমান উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে।
এ পর্যায়ে সমাধান না হলে প্রধান উপদেষ্টা মাধ্যমে বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার জাগো নিউজকে বলেন, এখনো বিমান ভাড়া নির্ধারণ না হওয়ায় প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারছে না ধর্ম মন্ত্রণালয়। আমরা বলেছি বিমান ভাড়া এক হাজার ডলারের মধ্যে রাখতে হবে। এর মধ্যে বিমান ভাড়া রাখতে না পারলে আমরা আন্দোলনে যাবো।
এরই মধ্যে সৌদি আরবের বেশিরভাগ খরচের হিসাব পাওয়া গেছে। যেগুলো পাওয়া যায়নি সেগুলো আনুমানিক ধরে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই হজ প্যাকেজ নির্ধারণ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে। এখন মূলত বিমান ভাড়ার জন্য অপেক্ষা করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ মাধ্যমে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। এছাড়া প্যাকেজ-২ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা। এর ভিত্তিতে প্যাকেজ নির্ধারণ করে হজ এজেন্সিগুলো।
চলতি বছরের তুলনায় আগামী বছর হজের খরচ কিছুটা কমানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সৌদি আরবের রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী বছর হজে যেতে প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ হবে ১২ অক্টোবর। এ সময় আর বাড়ানো হবে না বলে এরই মধ্যে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভ্রমণ, কাজ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা একটি অপরিহার্য নথি। যদিও বেশিরভাগ নাগরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর্যটন ভিসা বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাজের ভিসার জন্যই আবেদন করেন।
তবে এবার বেশ কিছু দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করলো আমিরাত। এই বিধিনিষেধের অর্থ হলো- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই দেশগুলোর নাগরিকরা শ্রমিক, পর্যটক এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
দেশটির অভিবাসন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, সুদান এবং উগান্ডা।
কেন এসব দেশের নাগরিকের ওপর ভিসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
আরব আমিরাত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কারণ জানায়নি।
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এর সম্ভাব্য কারণগুলো হলো-
নিরাপত্তা উদ্বেগ: সন্ত্রাসবাদ বা বেআইনি কার্যকলাপ থেকে আমিরাতের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা।
ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক: উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধ: সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর প্রবেশ নীতিমালা প্রয়োগ।
এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক বলে মনে করা হচ্ছে এবং আরব আমিরাতের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য মূল্যায়ণের ওপর নির্ভর করে তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে যারা বৈধ ভিসা নিয়ে এরই মধ্যে আমিরাতে বসবাস করছেন, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার স্বাক্ষরীত আদেশ অনুযায়ী, সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামকে বদলি করে খুলনা সদর থানায় পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে খুলনা থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন মাসুমকে পদায়ন করা হয়েছে লবণচরা থানায়।
হরিণটানা থানার দায়িত্বে থাকা শেখ খায়রুল বাশারকে বদলি করে আড়ংঘাটা থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে লবনচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুজ্জামানকে হরিণটানা থানায় এবং আড়ংঘাটা থানার দায়িত্বে থাকা মো. তুহিনুজ্জামানকে পদায়ন করা হয়েছে খানজাহান আলী থানায়।
খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেনকে বদলি করে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলীকে খালিশপুর থানায় পাঠানো হয়েছে, আর খালিশপুর থানার ওসি মো. রফিক ইসলামকে বদলি করে দৌলতপুর থানায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা মেট্টোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার খোন্দকার হোসেন আহম্মদ (মিডিয়া) জানান, নিয়মিত রদবদলের অংশ হিসেবে এ পদায়ন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মারা যাওয়া ওই সাংবাদিকের নাম তরিকুল শিবলী (৪০)। তিনি চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
মন্তব্য করুন
র্যাব-২ এবং হাজারীবাগ থানার যৌথ অভিযানে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন— আব্দুল হাকিম (৫৬), মো. নূর ইসলাম (৩১), আসাদুজ্জামান (৩৫) এবং মো. শাহরিয়ার শেখ মুরাদ (৪২)। অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে ৯টি পাসপোর্ট, ১০টি স্মার্টফোন, একটি বাটনফোন এবং এক কোটি ৫৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব বলছে, চক্রটি একজন ভুক্তভোগীকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে মিশরে নিয়ে জিম্মি করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) র্যাব-২ এর সিনিইয়র সহকারী পুলিশ সুপার খান আসিফ তপু এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মানবপাচারকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ভিসা ও পাসপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত।
মূলত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ ও বেকার যুবকদের টার্গেট করে ইউরোপে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে চক্রটি প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করতো।
খান আসিফ তপু বলেন, মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার ভুক্তভোগী জাহিদ হোসেনকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেন।
পরে গত ১৩ জুলাই তাকে মদিনা হয়ে মিশরে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে অজ্ঞাত আসামিরা জাহিদকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহিদ হোসেনের ভাই বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এই মানবপাচার চক্রটিকে দীর্ঘদিন ধরে নজরদারিতে রাখে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই র্যাব ও পুলিশের এই সফল অভিযান পরিচালিত হয়।
গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাই করে চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হাজার ২০০ টন ইলিশ শর্তসাপেক্ষে ভারতে রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫২৫ টাকা। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগ্রহী রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অফিস চলাকালীন (১১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত) ইলিশ রপ্তানির জন্য আবেদন আহ্বান করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে।
প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার বা এক হাজার ৫২৫ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) নির্ধারণ করেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
বুধবার (২৭ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
শফিকুল ইসলাম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। সর্বশেষ তিনি হাইওয়ে পুলিশে ডিআইজি পদে কর্মরত ছিলেন। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে ডিবিপ্রধানের পদটি শূন্য ছিল। গত ১২ এপ্রিল তৎকালীন ডিবিপ্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি করা হয়।
পেশাগত জীবন
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার সন্তান শফিকুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৯৯ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে যোগ দেন।
তিনি পেশাগত জীবনের শুরুতে লক্ষ্মীপুরে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) হন। ২০০২ সালে ঢাকায় বদলি হয়ে প্রায় পাঁচ বছর ডিবিতে কাজ করেন।
এরপর সারদা পুলিশ একাডেমিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে লাইবেরিয়ায় প্রেরিত হন। মিশন শেষে ২০১০ সালে চট্টগ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে ফের দায়িত্ব নেন। পরে দ্বিতীয় দফায়ও লাইবেরিয়া মিশনে যান তিনি।
২০১৩ সালে তিনি পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদোন্নতি পান এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হন। এক বছর পর আইভরি কোস্টে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেন। দেশে ফিরে হাইওয়ে পুলিশের এসপি হিসেবে দায়িত্ব পান।
২০১৯ সালে তাকে নৌ-পুলিশের এসপি করা হয়। ২০২১ সালে পদোন্নতি পেয়ে একই সংস্থার অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশন্স) হন। পরে ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেয়ে হাইওয়ে পুলিশে যোগ দেন।
মন্তব্য করুন
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গোয়ালীমান্দ্রা এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০ এর বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা আসামি রাজু (৩৭) ও মো: হামিদুল (৩৪) ধরা পড়ে।
র্যাব সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি রাজু (৩৭), পিতা- মেঘা, সাং- গোয়ালীমান্দ্রা, থানা- লৌহজং, জেলা- মুন্সীগঞ্জ। বিজ্ঞ আদালত তাকে পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৩২ ধারায় ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ৩৫৩ ধারায়ও তাকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
অপরদিকে আরেক আসামি মো: হামিদুল (৩৪), পিতা- মো: আ: মোতালেব, সাং- গোয়ালীমান্দ্রা, থানা- লৌহজং, জেলা- মুন্সীগঞ্জ। তিনি রমনা মডেল থানার মামলা নং- ১(৬)১৫ এর সাজাপ্রাপ্ত আসামি। মামলাটি ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯(খ) ধারায় দায়েরকৃত।
র্যাব-১০ এর এ অভিযানে দীর্ঘদিনের পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি নুর হোসেন জমাদ্দার ওরফে নুরু (৪৬) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আজ (১৮ আগস্ট ২০২৫) বিকেল অনুমান ৪টা ২০ মিনিটে ডিএমপি ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন লোহার ব্রীজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানার মাদক মামলা নং-১৫, তাং-১৩/০৫/২০১৮, ধারা- মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১৯(১) এর ৯(ক) অনুযায়ী সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামি। তিনি শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানার বাহের চন্দ্রপুর গ্রামের আঃ রশিদ জমাদ্দারের ছেলে।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
র্যাব জানায়, গত ১৭ জুলাই রাত আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন মুরাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩২০ পিস ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম গাঁজাসহ মাজেদা (৪২) নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৯৭ হাজার টাকা।
এরপর রাত প্রায় ৯টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর ডেমরা চৌরাস্তা এলাকায় অপর আরেকটি অভিযানে ৫৯ বোতল ফেন্সিডিল ও এক লিটার বিদেশী মদসহ মোঃ আরিফ মোল্লা (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে র্যাব। উদ্ধারকৃত মাদকের মূল্য প্রায় ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
র্যাব-১০ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
👉 চাইলে আমি এর জন্য আরও আকর্ষণীয় শিরোনামের বিকল্প সাজিয়ে দিতে পারি। চাইবেন?
মন্তব্য করুন
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর মীর হাজীরবাগ এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১০ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
র্যাব জানায়, জান শরীফের বিরুদ্ধে পল্লবী থানার মামলা নং- ৮১(২)১২ ও জিআর মামলা নং- ৪২৭/২২ রয়েছে। তিনি ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৩(খ)/১৯(৪) ধারায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
গ্রেফতারের পর তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনি চাইলে আমি এটিকে আরও শিরোনাম + লিড + বিস্তারিত আকারে সাজিয়ে পুরোপুরি সংবাদপত্রের স্টাইলে বানিয়ে দিতে পারি। চাইবেন কি?
মন্তব্য করুন
নড়াইলের আলোচিত হাসিম মোল্যা হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৩ আসামীকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
র্যাব জানায়, গত ১৫ মার্চ ২০২৫ সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে নড়াইলের কালিয়া থানার সিলিমপুর গ্রামে ঠান্ডু মোল্যা গ্রুপের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জনি মোল্যা গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় জনি মোল্যা গ্রুপের সদস্য হাসিম মোল্যা (৩৮) গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর নিহতের পিতা বাদী হয়ে কালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১৪, তারিখ-১৯/০৩/২০২৫; ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/৫০৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড, ১৮৬০)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব-১০ এর সহায়তা চান।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ আগস্ট রাত আনুমানিক ৮টা ২০ মিনিটে র্যাব-১০ এর আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য ও আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর শাহবাগ, পলাশী ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় পৃথক অভিযান চালায়। এসময় হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী—
১। মোঃ সোহান শেখ (৩২), পিতা- আঃ রউফ শেখ, সাং- সিলিমপুর
২। মোহাম্মদ (৪৫), পিতা- মৃত শাহজান মোল্লা, সাং- সিলিমপুর
৩। মোঃ আল হাজ (২৮), পিতা- মোঃ আজাদ মোল্লা, সাং- চালিতাতলা, কালিয়া, নড়াইল
গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।
মন্তব্য করুন
বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) পরিচালিত ‘পালস সার্ভে ৩’-এর ফলাফলে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় আর্কাইভস মিলনায়তনে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম, সংস্কার, নির্বাচন ও রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তা’ বিষয়ক এই জরিপের ফল প্রকাশিত হয়।
বিআইজিডি ও ভয়েস ফর রিফর্ম যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। জরিপের ফল তুলে ধরেন বিআইজিডির ফেলো অব প্র্যাকটিস সৈয়দা সেলিনা আজিজ।
জরিপে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, চলমান সমস্যা, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে টেলিফোনে প্রশ্ন করে মতামত জানতে চাওয়া হয়। গত ১ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত সময়ে এই জরিপ চালানো হয়। এর আগে গত অক্টোবরের তথ্যের ভিত্তিতে ডিসেম্বরে বিআইজিডির দ্বিতীয় পালস সার্ভের ফল প্রকাশ করা হয়েছিল।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন, এই প্রশ্নে ১২ শতাংশ বিএনপি, ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ জামায়াতে ইসলামী এবং ২ দশমিক ৮০ শতাংশ মানুষ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কথা বলেছেন।
আট মাস আগে গত অক্টোবরে একই প্রশ্ন করা হলে ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ বিএনপি, ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ জামায়াত ও ২ শতাংশ মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছিলেন।
অর্থাৎ আট মাস পর বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থন কিছুটা কমেছে আর এনসিপির সমর্থন সামান্য বেড়েছে। এছাড়া কাকে ভোট দেবেন, তা বলতে চাননি ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ মানুষ। আর ভোট দেবেন না বলেছেন ১ দশমিক ৭০ শতাংশ।
জরিপে গত অক্টোবরে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে (এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেটি এখন কমে হয়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এর বাইরে জাতীয় পার্টির ভোট শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ, অন্যান্য ইসলামি দলের ভোট ২ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে নেমেছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশে।
অবশ্য আপনার নির্বাচনী এলাকায় কোন দলের প্রার্থী জিতবে বলে মনে হয়—এমন প্রশ্নে ৩৮ শতাংশ মানুষ বিএনপির কথা বলেছেন। ১৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন জামায়াত ও ১ শতাংশ এনসিপির কথা বলেছেন। আর আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন ৭ শতাংশ মানুষ।
অনুষ্ঠানে জরিপের ফল তুলে ধরে বিআইজিডির ফেলো অব প্র্যাক্টিস সৈয়দা সেলিনা আজিজ জানান, জরিপের জন্য গ্রাম ও শহরের নানা শ্রেণি-পেশার ৫ হাজার ৪৮৯ জন মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। তাদের ৫৩ শতাংশ পুরুষ, ৪৭ শতাংশ নারী, ৭৩ শতাংশ গ্রামের ও ২৭ শতাংশ শহরের।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রিকশাচালক ইসমাইলের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় একজন চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সবাই ডেলটা হেলথ কেয়ার নামের একটি ক্লিনিকের কর্মী।পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রিকশাচালক ইসমাইল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন