১৯ অক্টোবর রোববার পূর্ব লন্ডনের রমফোর্ডের মেফেয়ার ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে লন্ডন বাংলা বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। স্থানীয় কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহায়তায় এই আয়োজন করছে উদীচী যুক্তরাজ্য শাখা। এ বছর অনুষ্ঠিত হবে আয়োজনের ১৬তম আসর। দিনব্যাপী বইমেলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে দুটি পর্বে। প্রথম পর্ব চলবে স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।
কবিতা পাঠ, শিশু-কিশোরদের আবৃত্তিসহ থাকবে নানা কিছু। দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকবে বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সাবিনা ইয়াসমীন গেয়ে শোনাবেন তার জনপ্রিয় বেশ কিছু গান। তার সঙ্গে মিউজিশিয়ান হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের শিল্পীরা। বাংলাদেশ থেকে সাবিনা ইয়াসমীনের সঙ্গে থাকছেন চন্দন দত্ত ও মনোয়ার হোসেন টুটুল।
একই অনুষ্ঠানে মৌসুমী ভৌমিক গাইবেন তার জনপ্রিয় গানগুলো। এ প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে প্রবাসী ভাইবোনেরাও কাজ করে যাচ্ছেন, এটা আমাদের জন্য আনন্দের খবর।
বিদেশের মঞ্চে যখন গাইতে উঠি, সামনে যেন একখণ্ড বাংলাদেশ দেখতে পাই। যখন গান গাই, কী আবেগ নিয়ে সবাই গেয়ে ওঠেন আমাদের গান, আমাদের বাংলা গান। চেষ্টা করব, গান গেয়ে বরাবরের মতোই প্রবাসী ভাইবোনদের মন জয় করে আসতে।’
সাবিনা ইয়াসমীন জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান শেষে ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন তিনি।
মন্তব্য করুন
এই বিশ্বাসের ভাণ্ডারে ডিমও পেয়েছে বিশেষ জায়গা। অনেক দেশে এখনো চলে আসছে এক ধরনের প্রথা, যার নাম ‘ডিম থেরাপি’। কিন্তু আসলেই কি ডিম দিয়ে রোগ সারে? নাকি এটি কেবল লোকবিশ্বাসের অংশ?
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়, কোনো শিশু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা কারও দৃষ্টিদোষ হয়েছে মনে হলে তার মাথার চারপাশে কাঁচা ডিম ঘুরিয়ে পরে সেটি ভেঙে দেখা হয়।
ধারণা করা হয়, অসুস্থতার ‘খারাপ শক্তি’ বা ‘নজর’ ডিমের ভেতর চলে আসে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, মেক্সিকো, পেরু, কিউবা কিংবা ফিলিপাইনের মতো লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে লিম্পিয়া নামে প্রচলিত এক আচার আছে। সেখানে কাঁচা ডিম দিয়ে শরীর মুছে পরে সেটি পানিতে ভেঙে রাখা হয়।
ডিমের ভেতরের আকৃতি দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়-কোথায় সমস্যা, কিসের কারণে অসুস্থতা ইত্যাদি। এছাড়া কিছু সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয়, ডিম হলো জীবনের প্রতীক। তাই ডিম দিয়ে শুদ্ধিকরণ করলে শরীর ও মনের ওপর থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়ে যায়।
ডিমকে ঘিরে নানা বিশ্বাসের ইতিহাস বহু পুরোনো। প্রাচীন মিশর ও গ্রিসে ডিমকে মনে করা হতো উর্বরতা ও নতুন জীবনের প্রতীক। আবার মধ্যযুগে ইউরোপে কিছু সম্প্রদায় রোগভোগ বা অশুভ আত্মা তাড়াতে ডিম ব্যবহার করত।
এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে, লোকজ চিকিৎসার অংশ হিসেবে ডিম ব্যবহার প্রচলিত। গ্রামীণ সমাজে কোনো যুক্তি ছাড়াই অনেকেই বিশ্বাস করতো ডিম দিয়ে রোগ সারানো যায়, কিংবা খারাপ শক্তি শরীর ছেড়ে চলে যায়।
ডিম প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার, তাই ডায়েট প্ল্যানে ডিমকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনেক সময় ‘ডিম ডায়েট’ কে মজা করে ‘ডিম থেরাপি’ বলা হয়।
চুল ও ত্বকের যত্নে ডিম ব্যবহার করার প্রচলন আছে (যেমন-হেয়ার মাস্ক, ফেস প্যাক), সেখানেও অনেকে একে ‘থেরাপি’ বলে উল্লেখ করেন।
ডিম থেরাপি কোনো বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা নয়।
ডিম ঘুরিয়ে অসুখ সেরে যায় এর পক্ষে কোনো গবেষণা বা প্রমাণ নেই। ডিম ভেঙে তার ভেতরের অদ্ভুত আকৃতি দেখে রোগ নির্ণয় করা কেবল কুসংস্কার।
বরং, কাঁচা ডিম ব্যবহারের ফলে স্যালমোনেলা জাতীয় জীবাণুর ঝুঁকি বাড়তে পারে, যা শিশু ও বয়স্কদের জন্য ক্ষতিকর। ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে বিজ্ঞান একমত। এটি প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলের দারুণ উৎস।
নিয়মিত ডিম খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আবার চুল বা ত্বকের যত্নে ডিম ব্যবহার বৈজ্ঞানিকভাবে ক্ষতিকর নয়। কিন্তু এগুলো ‘থেরাপি’ নয়, বরং সৌন্দর্যচর্চা বা পুষ্টি গ্রহণের অংশ।
যে কোনো সমাজের বিশ্বাসের ভেতর লুকিয়ে থাকে ইতিহাস আর সংস্কৃতির ছাপ। ডিম থেরাপিও তার ব্যতিক্রম নয়। যদিও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান এটিকে স্বীকৃতি দেয় না, তবুও প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মনে ভরসা জাগানো এই লোকাচার এখনো টিকে আছে।
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, এ ধরনের প্রথা মানুষকে মানসিক স্বস্তি দেয়। অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসার পাশাপাশি এ ধরনের রীতি মানসিক ভরসা তৈরি করে, যা রোগীর মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে। ডিম থেরাপি বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা নয়, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু এটি আমাদের লোকবিশ্বাস, সংস্কৃতি আর ইতিহাসের অংশ। হয়তো আজকের দিনে এর ব্যবহার চিকিৎসার বিকল্প নয়, কিন্তু সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে এর অস্তিত্ব অস্বীকার করার সুযোগও নেই।
মন্তব্য করুন
প্রিয় তারকার মাতৃত্বের খবর ছড়াতেই ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা ও আনন্দের কমতি নেই। কেউ লিখেছেন, ‘আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’ আরেক ভক্ত জানিয়েছেন, ‘ক্যাটরিনার মা হওয়ার খবর শুনে আমি ছেলেমানুষের মতো খুশি।’
প্রকাশ্যে এসেছে ক্যাটরিনার বেবীবাম্প
অন্যদিকে, সন্তান জন্মের সম্ভাব্য সময় নিয়েও খবর এসেছে। সূত্র বলছে, চলতি বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে ক্যাটরিনা সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। তবে নায়িকা ও তার স্বামী ভিকি কৌশল বরাবরের মতো এই বিষয়ে মুখে তালা টানা রেখেছেন।
ক্যাটরিনাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘মেরি ক্রিসমাস’ সিনেমায়, যেখানে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন বিজয় সেতুপতি। ভিকি কৌশলকে দেখা গেছে ‘ছাভা’ সিনেমায়, যেখানে তিনি স্ক্রিন শেয়ার করেছেন রাশমিকা মান্দানার সঙ্গে।
প্রকাশ্যে ধরা পড়া বেবিবাম্পের সঙ্গে, ফ্যানদের আনন্দ এখন তুলনায় দ্বিগুণ। মাতৃত্বের পথে এই নতুন অধ্যায়কে কেন্দ্র করে দর্শক ও ভক্তরা আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন তার প্রথম সন্তানের আগমনের জন্য।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গত বছরের নভেম্বরে কক্সবাজারে শুটিং শুরু হয় ‘পিনিক’ ছবির। শুটিংয়ের মাঝপথে ছবির নায়ক আদর আজাদের ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশিত হয়। তখনই জানানো হয়, ছবিতে বুবলীর চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দিতে তাঁরও একটি ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশিত হবে। যত দিনে বুবলীর ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে, তত দিনে নতুন বছর চলে এসেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন