রাজধানীর মিরপুরে পোশাককারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জন নিহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। জামায়াত আমির মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাককারখানা ও রাসায়নিক গুদাম পরিদর্শন করেন।
তিনি কারখানার বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরিদর্শনকালে শফিকুর রহমান নিহত ও আহতদের বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে এক লাখ টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নির্দেশ দেন।
জামায়াত আমির হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব।’
তিনি হতাহতদের পরিবারের সহায়তায় সরকার, সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি, মানবিক সংস্থা, সংগঠন ও জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুর রহমান মুসা, ঢাকা-১৪ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মীর আহমাদ বিন কাসেম (আরমান) এবং ঢাকা-১৬ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আবদুল বাতেন।
জামায়াত আমির এর আগে এক বিবৃতিতে নিহতদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া শফিকুর রহমান নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে ও আহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিআর আমি নিজেই বুঝি না। দেশটাকে বাঁচান, বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। গণভোট আর পিআর ছাড়া নির্বাচন হবে না, এসব দাবি দাওয়া- মিছিল করে তারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চায়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুল মাঠে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক পার্লামেন্টে গিয়ে হবে। যে-সব মতে দলগুলো একমত সেগুলো জুলাই সনদে সাক্ষর হবে। বাকী মতের জন্য গণভোট হবে। দয়া করে নির্বাচনটা দিয়ে এসব অস্থিরতা কাটান।
আর হিংসার রাজনীতি চাই না। হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ চাইনা। সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে চাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অতীতে সরকারে ছিলাম কিভাবে পরিচালনা করতে হয় জানি। বিএনপি নির্বাচিত হলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যকটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষকদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া হবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনি নির্বাচিত হবেন। আর ভাগাভাগি করবেন না, দেশটার ক্ষতি করবেন না। একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বের মধ্যে থাকতে চাই।
এসময় বিএনপির জেলা সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
তিনি বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত তাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় জামায়াতের পক্ষ থেকে তৃতীয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। বিবৃতি অনুযায়ী, ১৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহর এবং ১৫ অক্টোবর (বুধবার) সব জেলা শহরে মানববন্ধন হবে।
ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে ১৪ অক্টোবর যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে মৎস্য ভবন হয়ে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভিন্ন পয়েন্টে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরীর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
ঢাকাবাসীসহ সারাদেশের জনগণ এবং জামায়াতের সব জনশক্তিকে এ কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে সফল করার আহ্বান জানান গোলাম পরওয়ার।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল জানান, তাদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ে গত ১ থেকে ৯ অক্টোবর সারা দেশে গণসংযোগ, ১০ অক্টোবর ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকদের কাছে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এসব কর্মসূচি সফল করায় তিনি দেশবাসীকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানান। গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এসব কর্মসূচিতে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে, জামায়াতের দাবিগুলোর প্রতি দেশবাসীর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সরকারের উচিত জনগণের মতামতকে শ্রদ্ধা করে অবিলম্বে জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের জনগণ রাজপথ ছাড়বে না।’ ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি হলো-
•
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের মাধ্যমে গণভোট দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা।
•
আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই জাতীয় সনদের অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দেওয়া।
•
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
•
ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
•
স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
মন্তব্য করুন
তিনি বলেন, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিন হওয়ার সুযোগ নেই।
যারা সত্যিকার অর্থে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায় না তারাই জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা করছে। তারা প্রথমে স্পষ্ট বলেছেন তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিপক্ষে। পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার চাপে তারা গণভোটের পক্ষে সমর্থন দিলেও গণভোট নিয়ে দ্বিচারিতা করছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলার উদ্যোগে ‘জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা’ দাবিতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানপূর্বক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়- তারাই গণভোট সংসদ নির্বাচনের দিন চায়।
কারণ তারা তাদের সন্ত্রাসী, লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ব্যালট ছিনতাই করে গণভোটে ‘না’ প্রস্তাবে সিল মারার চক্রান্ত করছে। তারা চায় না জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া হোক। কারণ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া হলে তারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখল আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে জামায়াতের এ নেতা বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে নিজেরা নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। জনগণকে আবারও ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার দিকে ঠেলে না দিয়ে ৫ দফা দাবি মেনে নিতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দলীয় চাঁদাবাজি বন্ধ হবে মন্তব্য করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মনোনয়নের নামে দলীয় যে চাঁদাবাজি হয় সেটির সুযোগ থাকবে না। ফলে নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ হবে। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। জনগণ সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। প্রতিটি ভোট মূল্যায়িত হবে।
প্রচলিত পদ্ধতিতে দেখা যায় মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে একজন প্রার্থী বিজয়ী হন, অপরদিকে এক ভোটের ব্যবধানে লাখ-লাখ ভোট নষ্ট হয়েছে। লাখ লাখ ভোটারের মতামতের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।
তাই প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতিতে সত্যিকারের জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় না, জনগণের সরকার গঠিত হয় না। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা জেলা আমির মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন।
এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা নায়েবে আমির শাহিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি আবু সুফিয়ান, ইসলামি ছাত্রশিবিরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, বিগত এক মাসে পঞ্চগড় জেলায় এনসিপি তিনটি প্রোগ্রাম আয়োজন করেছে। প্রতিটি প্রোগ্রামে যখন আমি বক্তব্য দেওয়া শুরু করি, তার এক-দুই মিনিট পরে বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রথমবার যখন হয়েছিলো, কিছু বলিনি। মনে হয়েছিলো এটা হতেই পারে।
দ্বিতীয়বার যখন একই ঘটনা ঘটে, তখনও কিছু বলিনি, কিন্তু তাদের ইনটেনশন (উদ্দেশ্য) নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিলো। গতকাল আবার একই ঘটনা। প্রোগ্রামের আগে-পরে নয়, অন্য কারো বক্তব্যের সময় নয়। ঠিক আমি যখন কথা বলা শুরু করি, তখন আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। ফেসবুকে সারজিস লেখেন, কথা বলা শেষ হলে বিদ্যুৎ চলে আসে।
সব মিডিয়া এটার সাক্ষী। তিনটি প্রোগ্রাম তিন দিন ভিন্ন সময় হয়েছে। তারপরও এই ধরনের ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সেক্টরের কিছু কর্মকর্তা এই ধরনের ছোটলোকি কিংবা অন্য দলের দালালিমূলক আচরণ করে থাকে। একজনকে ডিস্টার্ব করতে পারলে তাদের রাজনৈতিক সফলতা মনে করে।
সারজিস বলেন, প্রত্যেকবারই প্রোগ্রামের আগে তাদেরকে প্রোগ্রাম সম্পর্কে বলে রাখা হয়। প্রোগ্রামের পরেও ভদ্র ভাষায় বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও যখন একই চিত্র দেখা যায়, তখন তাদের সঙ্গে সুশীলতা প্রদর্শন করার প্রয়োজন মনে করি না।
তবে ক্ষোভ ঝাড়তে গিয়ে যে উপমা ব্যবহার করেছি, সেটা করা উচিত হয়নি বলে মনে করি। চাঁদাবাজি, দখলদারি, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে এনসিপির পক্ষ থেকে লং মার্চে ১০ ঘণ্টা ধরে প্রায় দুই হাজার মানুষ মোটরসাইকেলে করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে পুরো পঞ্চগড় জেলার ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছি।
আশা করি মিডিয়ার ফোকাস সেদিকেও থাকবে, ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করেন সারজিস আলম।
গত শনিবার (১১ অক্টোবর) সারজিস আলমের নেতৃত্বে পঞ্চগড় শহর থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত লং মার্চ হয়। সেই লং মার্চের সমাপ্তি বক্তব্য দেন রাত সাড়ে ৯টার দিকে।
পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কসংলগ্ন জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে এই আয়োজনে সারজিস আলম বক্তব্য দেওয়ার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
ওই বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এর আগেও পঞ্চগড়ে এনসিপির প্রোগ্রাম চলাকালে বিদ্যুৎ গেছে। নেসকোর যে মালিক তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে, প্রোগ্রাম চলাকালে, এটা হয় কেন? এক দিন হইতো, দুই দিন হইতো কিচ্ছু বলতাম না, তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। যারা এটা করছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক ***।
এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখবো।’ সারজিস আলমরে এই বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
মন্তব্য করুন
এসময় জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন আনজা কারস্টেন এবং পলিটিক্যাল ও প্রেস অফিসার শারলিনা নুজহাত কবির। বৈঠকটি আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়।
আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রদূত আমিরে জামায়াতের শারীরিক খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন। বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জার্মানির সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তা কামনা করা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের নারী সমাজের অধিকার সুরক্ষা, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সার্বিক উন্নয়নে জার্মানির অব্যাহত সমর্থনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বাকস্বাধীনতা, টেকসই গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।
উভয় পক্ষ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বেগবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, আমিরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের মেডিকেল থানা জামায়াতের আমির ডা. এসএম খালিদুজ্জামান।
মন্তব্য করুন
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, “শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।”
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ইসলামকে ক্ষমতায় আনার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির বাস্তবায়ন জরুরি। চরমোনাই পীর বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সুষ্ঠু প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতে হবে।
বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠতাভিত্তিক নির্বাচনী পদ্ধতিতে জনগণের প্রকৃত মতামত সংসদে প্রতিফলিত হয় না। এর ফলে জাতীয় রাজনীতিতে বৈষম্য, অস্থিরতা ও অন্যায় প্রভাব বিস্তার পায়। তিনি আরও বলেন, “জনগণের ভোটের অনুপাতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসন বণ্টনই গণতান্ত্রিক ও ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতি। এতে ভোটের মূল্য সংরক্ষিত থাকবে, ছোট ও নতুন রাজনৈতিক দলগুলোও প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাবে এবং জাতীয় ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বাড়বে।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, দলটি শুরু থেকেই পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এখন সময় এসেছে এই দাবিকে জাতীয় ঐক্যের প্ল্যাটফর্মে রূপ দেওয়ার। নির্বাচনী সংস্কারের অংশ হিসেবে অবিলম্বে পিআর পদ্ধতি প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)। তিনি বলেন, “ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া কখনোই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চায় যেখানে মানুষ ও কুকুর খাদ্যের জন্য লড়াই করবে না, মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্ব থাকবে না, সবাই মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করবে।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল কে এম বিল্লাল হোসাইন, যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল এইচ এম রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।শু ক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেট থেকে এই গণমিছিল শুরু হয়।
বিশাল মিছিলটি গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, বিজয়নগর হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা, বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল সদস্য এবং কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা।
গণমিছিল শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার।
দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন। জামায়াতে ইসলামী জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন, দলের রাজনীতি করার বৈধতা পুনর্বহালসহ পাঁচ দফা দাবি জানায়।
মন্তব্য করুন
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। ২০০৮ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেয় তৎকালীন ইসি।
তখন অনেক দলকে সংবিধান, আইন, বিধি মেনে গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে হয়। জামায়াতকেও কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন বাতিল হয় দলটির।
২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগে সর্বশেষ আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি বছর তারা নিবন্ধন ফিরে পায়।
সেই বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এক যুগ পর ৩১ জুলাই ফের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় দলটি। কিন্তু জামায়াতের ব্যাংক হিসাব নম্বর জমা দেয়নি। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় ইসি সচিবালয়।
এ ধারাবাহিকতায় বুধবার দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার জামায়াতের দুটি বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য সংক্রান্ত চিঠি ইসিতে জমা দেন।
কাউন্সিল করে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও ইসলামী বাংকে দলের হিসাব পরিচালনার বিষয়টি তুলে ধরে ইসির চিঠির ব্যাখ্যা দেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর থেকে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতে পারেনি জামায়াত।
একই সঙ্গে জানানো হয়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ২২তম সংশোধনী যথাযথ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের অনুমোদিত হয়েছে। এটাই সবশেষ সংশোধনী, গেলো ২৫ জুলাই গঠনতন্ত্রের সংশোধিত কপি জমা দেওয়া হয়।
ইসি তাগাদা দেওয়ায় বুধবার আরেকটি কপিও জমা দেয় প্রতিনিধি দল। পরে ইসির অতিক্তি সচিব কেএম আলী নেওয়াজ জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক হিসাব নম্বর ও সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
যানবাহন আমদানির অনুমোদনের জন্য নথি জমা
দেশজুড়ে নির্বাচনী সফরে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া
সঙ্গে থাকবেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত চিকিৎসক
চলছে প্রচারণার সূচি, ভ্রমণপথ ও জনসভাস্থল নির্ধারণের কাজ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও সক্রিয় হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ ১০ বছর পর তিনি সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে যাচ্ছেন—এমন ইঙ্গিত মিলেছে দলীয় সূত্রে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার নির্বাচনী সফরের জন্য বিশেষভাবে তৈরি একটি বুলেটপ্রুফ মিনিবাস জাপান থেকে আনা হচ্ছে। তার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিবেচনায় যানবাহনটি কাস্টম ডিজাইনে প্রস্তুত করা হয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) বিএনপির পক্ষ থেকে ওই যানবাহনটির আমদানির অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্যও জাপান থেকে আরেকটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি আনা হবে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, এই মিনিবাসেই খালেদা জিয়া দেশজুড়ে নির্বাচনী সফরে অংশ নেবেন।
তার সঙ্গে থাকবেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও সহকারী দল। সফরে বিভিন্ন জেলায় যাত্রাবিরতি ও জনসভায় যোগ দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চলছে প্রচারণার সূচি, ভ্রমণপথ ও জনসভাস্থল নির্ধারণের কাজ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই খালেদা জিয়ার নির্বাচনী যাত্রার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়া প্রার্থী হতে পারেন বলে দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্র আরও জানায়, সশরীরে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে; তবে শারীরিক অসুবিধার কারণে যদি তা সম্ভব না হয়, প্রযুক্তির সহায়তায় খালেদা জিয়া প্রচারণায় অংশ নেবেন।
বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেই মাঠে থাকতে চান। তার মাঠে নামা মানেই কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণ ফিরে আসবে।
২০১৫ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারে অংশ নেওয়ার পর এবারই প্রথম খালেদা জিয়াকে পূর্ণমাত্রায় প্রচারণায় দেখা যাবে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রতিটি পদক্ষেপে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চলছে প্রচারণার সূচি, ভ্রমণপথ ও জনসভাস্থল নির্ধারণের কাজ। দলীয় প্রচার কমিটি জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই খালেদা জিয়ার নির্বাচনী যাত্রার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
গত ৩০ জুলাই ফেনী জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া ফেনী থেকে প্রার্থী হবেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ইতোমধ্যে দলের স্থায়ী কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন।
এটা মূলত নির্বাচনী প্রক্রিয়ারই প্রাথমিক ধাপ। তফসিল ঘোষণার পর বিষয়টি পূর্ণমাত্রায় শুরু হবে। তখন দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হবে, তিনি (খালেদা জিয়া) কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন।’
‘নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া ম্যাডামের নিজের সিদ্ধান্ত। শারীরিকভাবে ফিট থাকলে তিনি অবশ্যই মাঠে নামবেন।’- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান
শায়রুল কবির খান আরও বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে বিভিন্ন আসন নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও সাংগঠনিক নেতা ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তফসিল ঘোষণার পর প্রচারণাসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ম্যাডামের শরীর-স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করবে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেবেন কি না—এখনই সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া ম্যাডামের নিজের সিদ্ধান্ত। শারীরিকভাবে ফিট থাকলে তিনি অবশ্যই মাঠে নামবেন।’
‘একজন কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি বা বিশ্বাস করতে চাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যেই প্রত্যাশিত, জনপ্রত্যাশিত যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, উনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক সক্ষমতা যদি অ্যালাও করে উনাকে নিশ্চয়ই উনি কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন।’ -তারেক রহমান
এদিকে নির্বাচনে খালেদা জিয়ার ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং আপনাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কি এ নির্বাচনে কোনো ভূমিকায় থাকবেন? তাকে কি আমরা নির্বাচনে কোনো ভূমিকায় দেখতে পাবো?
বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনি এমন একজন মানুষের কথা বলেছেন, যেই মানুষটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, যতবার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, প্রতিবার উনি অবদান রেখেছেন। সেই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত বা পুনরুদ্ধার করার জন্য।’
এবারও আপনাদের সবার চোখের সামনেই ঘটেছে যে কীভাবে স্বৈরাচারের সময় তার ওপরে অত্যাচারের খড়্গহস্ত নেমে আসে। কিন্তু উনি আপস করেননি। এরকম একজন ব্যক্তি আজ অসুস্থ। কেন কীভাবে উনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেন, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে জেলখানায় নিয়ে যাওয়া হলো।
আমরা দেখেছিলাম একজন সুস্থ মানুষ গেছেন। কিন্তু যখন বেরিয়ে এসেছেন একজন অসুস্থ মানুষ বেরিয়ে এসেছেন। তাকে চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। এসবই ঘটনা দেশবাসী জানেন। তারপরেও যে মানুষটির এত বড় অবদান রয়েছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার।
‘আমি সেই দলের একজন কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি বা বিশ্বাস করতে চাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে যেই প্রত্যাশিত, জনপ্রত্যাশিত যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, উনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক সক্ষমতা যদি অ্যালাও করে উনাকে নিশ্চয়ই উনি কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন।’
সেটা কি নির্বাচনে অংশগ্রহণ হতে পারে? বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, ‘এটি আমি এখনো বলতে পারছি না। আমি মাত্রই বললাম যে উনার শারীরিক বা ফিজিক্যাল অ্যাবিলিটির ওপরে বিষয়টি কিছুটা হলেও নির্ভর করছে।’
মন্তব্য করুন
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ সাংবিধানিকভাবে পাকাপোক্ত করতে গণভোটের আয়োজন করতে হবে। জাতীয় সংসদের আগে এ গণভোট আয়োজন করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
এজন্য নভেম্বর ডিসেম্বরের দিকেই গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে বলে জানায় জামায়াত।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গণভোট হতে পারে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
গণভোট কবে হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জনগণ গণভোটে অভ্যস্ত না। আমরা মনে করি, এটি যাতে জাতীয় নির্বাচনকে কোনো ধরনের সমস্যায় না ফেলে, নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরেই এটা করা যায়। তফসিলের আগেও করতে পারেন। গণভোট হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে কোনো ধরনের বাধা নেই।
জনগণকে একটা জটিল অবস্থায় না ফেলে বা মহাপরীক্ষায় না ফেলে সহজভাবে এগিয়ে গেলে আমরাও বাঁচি, জাতিও বাঁচে। তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রচনার জন্য যদি গণভোটে যায়, তাহলে এটা হবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। এটা কখনো চ্যালেঞ্জ করতে গেল তা টিকবে না।
পার্লামেন্টও এটাকে প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো দূরত্ব নেই জানিয়ে এ জামায়াত নেতা বলেন, গণভোটের রেজাল্ট যদি আমাদের বিপক্ষেও যায়, আমরা এখানে ছাড় দেব।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, সংস্কারের বিষয়ে আমরা সবসময় সোচ্চার ছিলাম। সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটের পক্ষে সবাই মত দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
শফিকুর রহমান দলটির নেতৃত্বে আসার পর থেকে তার দূরদর্শিতায় দলের অবস্থা ভালো হয়েছে। তার সংস্কারমুখী ও যুগোপযোগী চিন্তা-ভাবনা ও কথা-কাজের কারণে ছোট-বড় সব শ্রেণির মানুষের কাছেই তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এবং তাদের কাছে দলের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। এবারও বৃহৎ স্বার্থে দলটির রুকনরা (সদস্য) তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
শফিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হবে ডিসেম্বরে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ওই সময়ের মধ্যে নতুন আমির নির্বাচন করবে দলটি। জানা যায়, ‘আমির’ জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পদ।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছরের জন্য তিনি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যদের পরামর্শক্রমে নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ নির্বাহী দায়িত্বশীল পদগুলোতে দলের নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে থাকেন আমির।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংগঠনগুলোর মেয়াদ তিন বছর। এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী তিন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্বাচনগুলো সম্পন্ন হয়।
সেই নির্বাচনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘আমিরে জামায়াত’ নির্বাচন। আরও আছে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা নির্বাচন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের নির্বাচন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন।’
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘আমাদের ৫ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন আছে। তারা আশা করছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমিরে জামায়াত এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা—এই দুইটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন করতে পারবেন।পরে শপথসহ অন্য বিষয়গুলো আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে করব।’
ব্রিটিশ উপনিবেশকালে ভারতের লাহোরে (বর্তমানে পাকিস্তান) মাওলানা মওদূদীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় জামায়াতে ইসলামী। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশে আমির নির্বাচিত হয়েছেন ৬ জন নেতা।
তাদের মধ্যে ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মাওলানা আবদুর রহিম, ১৯৬০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এবং ১৯৯২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক গোলাম আযম, ১৯৭৯ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আব্বাস আলী খান (ভারপ্রাপ্ত), ২০০০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মতিউর রহমান নিজামী, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মকবুল আহমদ এবং সর্বশেষ ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ ও ২০২২ সালে টানা দুইবারের মতো নির্বাচিত হয়ে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সংস্থাটির নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিব মো. রফিকুল ইসলাম এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি নামের দলটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে, যা প্রাথমিক পর্যালোচনায় বিবেচিত হয়েছে। আবেদনপত্রে প্রতীক হিসেবে পছন্দের ক্রমানুযায়ী শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোন উল্লেখ করা হয়, যা পরবর্তীসময়ে পরিবর্তন (শাপলা, লাল শাপলা বা সাদা শাপলা) করা হয়।
তবে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৯(১) মোতাবেক প্রার্থীর প্রতীক ‘শাপলা’ অন্তর্ভুক্ত নেই। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার বিধান উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, এ আদেশ বা বিধিমালার অধীন অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে কোনো দল কর্তৃক মনোনীত সব প্রার্থীর জন্য নির্ধারিত প্রতীক থেকে পছন্দকৃত যে কোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।
এইভাবে বরাদ্দকৃত প্রতীক দলটির জন্য সংরক্ষিত থাকবে, যদি না তা পরবর্তীকালে নির্ধারিত প্রতীকগুলোর মধ্য থেকে অন্য কোনো প্রতীক লাভের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করে।
এ অবস্থায় দলের নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৯ (১) এ উল্লেখিত প্রতীকের তালিকা থেকে বরাদ্দ হয়নি- এমন একটি প্রতীক পছন্দ করে নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
যেসব প্রতীক থেকে এনসিপিকে তাদের মার্কা পছন্দ করতে বলা হয়েছে সেগুলো হলো- আলমিরা, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, কম্পিউটার, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, ফ্রিজ, তবলা, বক, মোরগ, কলম,
তরমুজ, বাঁশি, লাউ, কলস, চিংড়ি, থালা, বেঞ্চ, লিচু, দোলনা, প্রজাপতি, বেলুন, ফুটবল, ফুলের টব, মোড়া, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রথমে শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোনের যে কোনো একটি প্রতীক তাদের দেওয়ার জন্য আবেদন জানায়। তার কিছুদিন পর সে আবেদনে সংশোধন এনে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা দেওয়ার জন্য আবেদন করে।
এ নিয়ে ইসি গণমাধ্যমকে জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলে যে ১১৫টা প্রতীক আছে সেখানে শাপলা, সাদা শাপলা বা লাল শাপলা নেই। তাই শাপলা প্রতীক এনসিপি পাবে না।
মন্তব্য করুন
কর্মশালার শুরুতেই দারসুল কোরআন পেশ করেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশবাসীর নিকট ৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী দ্বিতীয় ধাপে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে আমাদের এই ৫ দফা গণদাবি জনগণের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দেশের জনগণ এ দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে রাজপথে নেমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকারের উচিত অবিলম্বে জনগণের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। সরকার যদি জনগণের যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে এবং বিদ্যমান সমস্যার দ্রুত সমাধান না করে, তাহলে দেশের জনগণ তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য কঠোর হতে বাধ্য হবে।
কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ এবং সদস্য মোবারক হোসাইন। পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষক কর্মশালায় ডেলিগেটরাও বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই-গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং অফিসার তার জবানবন্দি পেশ করবেন আগামীকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর)। তার এ জবানবন্দি সরাসরি (লাইভ টেলিকাস্ট) সম্প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, মামলার গুরুত্বপূর্ণ এ সাক্ষীর জবানবন্দি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে সরাসরি (লাইভ টেলিকাস্ট) সম্প্রচার করা হবে। স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং অফিসারের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
যদিও জানা গেছে, স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিং অফিসার প্রসিকিউটর তানভীর জোহা। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেলে এ জবানবন্দি পেশ করবেন তিনি।
ট্রাইব্যুনালে অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মন্তব্য করুন
ত্রিশটি আসন না দেওয়ায় পিআর নিয়ে বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে জামায়াত’ শিরোনামে প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য অসত্য ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘এই সময়’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
এ ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য, অমর্যাদাকর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো প্রবীণ রাজনীতিবিদ এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তা বিশ্বাস করতে আমাদের কষ্ট হয়। এ বক্তব্যের সঙ্গে সত্য ও শিষ্টাচারের কোনো মিল নেই। যদি এ বক্তব্য তার হয়ে থাকে, তবে বাধ্য হয়ে আমরা তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
পাশাপাশি এ বক্তব্য যদি তার হয়ে থাকে- তাহলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কার কাছে এ আসনগুলো দাবি করেছে- তার প্রমাণ জাতির কাছে উপস্থাপন করার জন্য দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে আহ্বান জানাচ্ছি।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাভাবিকভাবে তার মূল নেতৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়। কারও কাছে আসন চাওয়ার রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান সময়ে দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি যদি তার বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আমরা আহ্বান জানাবো সত্যকে মেনে নিয়ে তিনি তার বক্তব্যের জন্য ন্যূনতম পক্ষে জনগণের সামনে দুঃখ প্রকাশ করবেন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি এবং সংগঠনের মর্যাদা সম্পর্কে তিনি যে তাচ্ছিল্যের ভাষায় কথা বলেছেন, তার বিচারের ভার জনগণের আদালতের ওপর ছেড়ে দিলাম। প্রিয় জনগণের ওপর আমাদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে।
আমাদের কার্যক্রম দেশ ও জনগণের জন্য। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। আমাদের ভরসার মূল জায়গা মহান রবের করুণা ও সাহায্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন
বিনিয়োগকারীরা আগামী নির্বাচনের অপেক্ষায় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন বিকেল ৫টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, শ্রম আইন সংশোধনসহ ব্যবসাখাতে নানান সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ীরা আলোচনা করেন।
বৈঠকের পর সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ব্রিফিংয়ে খসরু বলেন, অর্থনীতি রক্ষার জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যৎ অর্থনীতি, বিনিয়োগের সম্ভাবনা রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণ স্থগিত করা প্রয়োজন। এ বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য সরকারকে জাতিসংঘে চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দেন তিন।
বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনের (উত্তরণ) জন্য এখনো প্রস্তুত নয় বলেও মন্তব্য করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিজনেস কমিউনিটিতে যারা জড়িত তাদের প্রায় সবাই আজ এখানে উপস্থিত। দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি যেসব বড় বড় ব্যবসায়ী, তাদের সবাই আজ এখানে আছেন।
তাদের আসার পেছনে দুটো কারণ আছে। একটা হচ্ছে আমাদের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন এবং আরেকটা লেবার ইস্যু। এটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগে আগামী যে সম্ভাবনা আছে সেটাকে প্রটেক্ট করার জন্য, রক্ষার জন্য আমাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা ওনাদের বিস্তারিত কথা শুনেছি, ওনারা ওনাদের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো বলেছেন। এখান থেকে যেটা প্রতীয়মান হয় যে, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে যাওয়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বর্তমান এবং আগামীদিনে ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে না। কারণ দেশে বড় ধরনের একটা আপরাইজিংয়ের পর আমরা এখন কিন্তু দেশটার অর্থনীতি রক্ষার জন্য সবাই মিলে কাজ করছি, এটা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি।
বিগত দিনে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরিপ্রেক্ষিতে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছিল সেগুলো প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিএনপি নেতা বলেন, সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনীতি, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য যদি আমরা অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিতে চাই, যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, তাহলে এই মুহূর্তে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন স্থগিত রাখার বিষয়ে আমরা সবাই আলোচনা করেছি, এটা স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয়তা আছে।
ব্যবসায়ীরা এটাও মতামত দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে এই মুহূর্তে এলডিসির বিষয়ে রেডি আছে কি না সে বিষয়ে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে চিঠি দেওয়া দরকার? বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করা হচ্ছে তারা যেন একটা চিঠি দেয় এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা এখানে এসে সরেজমিনে দেখে বাংলাদেশের প্রস্তুতিটা আছে কি না এটা প্রত্যক্ষভাবে দেখার প্রয়োজনীয়তা আছে।’ বলেন খসরু।
এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, এলডিসি উত্তরণ স্থগিত নয় বরং অন্তত তিন বছর পেছানো প্রয়োজন। এই মুহূর্তে এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ। এছাড়া ২০ জন শ্রমিক আবেদন করলেই ট্রেড ইউনিয়ন করা যাবে, এমন কিছু কার্যকর হলে ইউনিয়নের অপব্যবহার হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি। বৈঠকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, সাবেক সভাপতি তপন চৌধুরী ও নাসিম মনজুর, এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিকেএমইএ সভাপতি এম এ হাতেম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, বিজেএমইএ মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ ছাড়াও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এসএম ফজলুল হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
আজকে এই বাহানা, কালকে ওই বাহানা, পরশু আরেক বাহানা দিয়ে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন কেন? উদ্দেশ্য কি সেটা তো আমরা জানি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তার তৃতীয় সংলাপ-মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে অপর্ণ আলোক সংঘ।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কালকে কয়েকটা সমাবেশ হয়েছে সারাদেশে, বিভিন্ন বিভাগ পর্যায়ে। পত্রিকায় আজ হেডলাইন দেখলাম, কোথাও বলছে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে, বিএনপি বিরোধী দলে যাবে।
তো ভাইসাব আপনারা কি নির্ধারণ করে দিয়েছেন, বিএনপি বিরোধী দলে যাবে নাকি জনগণ করবে? কিন্তু আমার জবাব হলো আপনারা যখন এত বেশি আত্মবিশ্বাসী, যে সরকারি দল হবেন।
তাহলে নির্বাচনে আসেন না কেন? আজকে এই বাহানা, কালকে এই বাহানা, পরশু আরেক বাহানা দিয়ে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন কেন? উদ্দেশ্য কি সেটা তো আমরা জানি।
সব রাজনৈতিক দল এবং দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আসুন, আমরা কোনো সংকট সৃষ্টি না করি এবং সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি।
আমাদের ফ্যাসিস্টবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছে, সেটাকে আমরা সমুন্নত রাখবো এবং এটাকেই শক্তিতে পরিণত করব ইনশাআল্লাহ। গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখতে পারবো এবং তাহলেই আমরা সফলকাম হবো।
সালাহউদ্দিন বলেন, ঐকমত্য কমিশনে যদি ঐতমত্য পোষণ না হয় তাহলে যেভাবে প্রচলিত বিধিবিধানসম্মত হবে সেভাবেই হবে। এখানে যেন আমরা পরস্পর জবরদস্তি না করি।
যে পরিবর্তনগুলো আমরা সামনের দিনে আনতে চাচ্ছি সেটা রাতারাতি হবে না। সেটার জন্য সময় দরকার পর্যায়ক্রমভাবে যাওয়া দরকার। একটা গণতন্ত্রবিহীন অবস্থা থেকে আমরা যে জায়গায় আসতে পেরেছি, ইনশাআল্লাহ এই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা একটা শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ, শহীদের প্রত্যাশা পূরণ, জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো। আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা আছে একটা বৈষম্যহীন, সাম্যভিত্তিক ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার সেই আকাঙ্ক্ষা আমরা পূরণ করতে পারবো।
সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি যাওয়া ঠিক হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র প্রতিনিধি সরকারের দায়িত্বে আসাটা আমার মনে হয় এটি সঠিক বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ প্রেশার গ্রুপ হিসেবে জাতিকে নির্দেশক হিসেবে তারা থাকতে পারতো। যেটা প্রশ্ন এখনো ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যারা সরকারে বসে আছে, প্রতিদিনই তাদের লাইবিলিটির (দায়) কাদা নিতে হচ্ছে, হবে।
জাতীয় পার্টির নেত্রী রওশন এরশাদের মন্তব্য তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, রওশন এরশাদ বলেছিলেন, মাননীয় স্পিকার আপনি বলে দেন, আমি সরকারি দল না বিরোধী দল। এরকম কোনো চর্চা যেন আমরা ভবিষ্যতে না করি।
বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠের আন্দোলনের সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, আলোচনা টেবিলে চলমান থাকা অবস্থায় মাঠে আন্দোলন করাটা স্ববিরোধী।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, অনেকে বলছে, এ সরকার পুরোপুরি সাংবিধানিকও না আবার বলছে এটা পুরাপুরি বিপ্লবী সরকারও না বলছে এটা মাঝামাঝি সরকার।
আমি বললাম এটা নির্ধারণ হওয়া দরকার, এক বছর পরে এসে তারা কেন এ প্রশ্ন তুলছে, তার পেছনে একটা উদ্দেশ্য থাকতে পারে, এ ধরনের প্রশ্নের মধ্য দিয়ে সাংবিধানিক সংকট যদি সৃষ্টি হয়, তাহলে বেনিফিশিয়ারি কে হবে? কোন অসাংবিধানিক শক্তি। বেনিফিশিয়ারি হবে পতিত স্বৈরাচার।
নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা রাষ্ট্রকে সেই জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি কেন? প্রশ্নগুলো তুলে এই সংবিধানকে এই সরকারকে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার সরকার কি না সেই প্রশ্ন যদি আজ উত্থাপন করা হয় তাহলে তাদের মতলব আলাদা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন