তিনি বলেন, গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিন হওয়ার সুযোগ নেই।
যারা সত্যিকার অর্থে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায় না তারাই জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা করছে। তারা প্রথমে স্পষ্ট বলেছেন তারা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির বিপক্ষে। পরবর্তীতে ছাত্র-জনতার চাপে তারা গণভোটের পক্ষে সমর্থন দিলেও গণভোট নিয়ে দ্বিচারিতা করছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলার উদ্যোগে ‘জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা’ দাবিতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানপূর্বক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়- তারাই গণভোট সংসদ নির্বাচনের দিন চায়।
কারণ তারা তাদের সন্ত্রাসী, লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ব্যালট ছিনতাই করে গণভোটে ‘না’ প্রস্তাবে সিল মারার চক্রান্ত করছে। তারা চায় না জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া হোক। কারণ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া হলে তারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখল আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে জামায়াতের এ নেতা বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে নিজেরা নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার শামিল হবে। জনগণকে আবারও ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার দিকে ঠেলে না দিয়ে ৫ দফা দাবি মেনে নিতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দলীয় চাঁদাবাজি বন্ধ হবে মন্তব্য করে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মনোনয়নের নামে দলীয় যে চাঁদাবাজি হয় সেটির সুযোগ থাকবে না। ফলে নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি বন্ধ হবে। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। জনগণ সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। প্রতিটি ভোট মূল্যায়িত হবে।
প্রচলিত পদ্ধতিতে দেখা যায় মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে একজন প্রার্থী বিজয়ী হন, অপরদিকে এক ভোটের ব্যবধানে লাখ-লাখ ভোট নষ্ট হয়েছে। লাখ লাখ ভোটারের মতামতের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।
তাই প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতিতে সত্যিকারের জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় না, জনগণের সরকার গঠিত হয় না। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা জেলা আমির মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন।
এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা নায়েবে আমির শাহিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি আবু সুফিয়ান, ইসলামি ছাত্রশিবিরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।