এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হঠাৎ সালেকার বসতঘরের পাশে থাকা একটি প্লাস্টিকের বস্তা পুকুরে ভেসে ওঠে। পরে একজন বস্তাটি কৌতূহলবশত পুকুর থেকে তুলে দেখেন, ভেতরে টাকা ভর্তি আরও দুটি বস্তা। বস্তা দুটিতে এক, দুই, পাঁচ, দশ, বিশ, পঞ্চাশ ও শত টাকার অনেক নোট ও পয়সা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেশী আব্দুল কাদের জানান, ৫-৭ জন প্রায় চার ঘণ্টা গুনে মোট এক লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ টাকা পাওয়া গেছে। বেশ কিছু টাকার নোট ছিঁড়ে অচল হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, ভিক্ষুক সালেকা পাগলি ওই এলাকার মৃত আব্দুস ছালামের স্ত্রী।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে রায়পুর মিলগেট এলাকার পরিত্যক্ত একটি কক্ষে বসবাস করেন। তার নাম সালেকা বেগম হলেও সবাই তাকে ‘সালেকা পাগলি’ নামেই চেনেন। তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এতে প্রতিদিন যা উপার্জন হতো তা তিনি সঞ্চয় হিসেবে তার পরিত্যক্ত ঘরের দুটি বস্তায় সংরক্ষণ করেছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দুই বস্তা টাকা উদ্ধারের খবর শুনে সেখানে অনেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন। পরে স্থানীয়রা টাকাগুলো হিসাব করে তার মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনোয়ার হোসেন বলেন, টাকা উদ্ধারের বিষয়টি জেনেছি। সংগ্রামী ওই নারী দীর্ঘদিন কষ্ট করে এই টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। তার এক মেয়েও রয়েছেন। ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।