নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। ২০০৮ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেয় তৎকালীন ইসি।
তখন অনেক দলকে সংবিধান, আইন, বিধি মেনে গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে হয়। জামায়াতকেও কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন বাতিল হয় দলটির।
২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগে সর্বশেষ আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি বছর তারা নিবন্ধন ফিরে পায়।
সেই বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এক যুগ পর ৩১ জুলাই ফের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় দলটি। কিন্তু জামায়াতের ব্যাংক হিসাব নম্বর জমা দেয়নি। এরপর প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় ইসি সচিবালয়।
এ ধারাবাহিকতায় বুধবার দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার জামায়াতের দুটি বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য সংক্রান্ত চিঠি ইসিতে জমা দেন।
কাউন্সিল করে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও ইসলামী বাংকে দলের হিসাব পরিচালনার বিষয়টি তুলে ধরে ইসির চিঠির ব্যাখ্যা দেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর থেকে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতে পারেনি জামায়াত।
একই সঙ্গে জানানো হয়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ২২তম সংশোধনী যথাযথ প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের অনুমোদিত হয়েছে। এটাই সবশেষ সংশোধনী, গেলো ২৫ জুলাই গঠনতন্ত্রের সংশোধিত কপি জমা দেওয়া হয়।
ইসি তাগাদা দেওয়ায় বুধবার আরেকটি কপিও জমা দেয় প্রতিনিধি দল। পরে ইসির অতিক্তি সচিব কেএম আলী নেওয়াজ জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক হিসাব নম্বর ও সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে।