গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজাজুড়ে একের পর এক বিমান হামলা ও আর্টিলারি শেলিং চালিয়েছে।
গাজার পশ্চিমে একটি ড্রোন হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অনেকে। এ ছাড়া আল-মাওয়াসি এলাকায় একটি তাঁবুতে হামলায় দুই শিশু নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, আল-মাওয়াসিকে ইসরায়েল তথাকথিত মানবিক নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করেছিল। কিন্তু সেখানেও টানা হামলা চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে নুসেইরাত ক্যাম্প ও তুফাহ্ এলাকায়ও বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে এক কিশোরীও রয়েছে। এদিন গাজা নগরীর উত্তরে ফেরার চেষ্টা করা কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি সেনারা গুলি করে হত্যা করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
নেতজারিম করিডর ঘেঁষে অবস্থান নিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী উত্তরাঞ্চলে ফেরত যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর গাজা এখনো যুদ্ধক্ষেত্র এবং সেখানে ফিলিস্তিনিদের ফেরার অনুমতি নেই।
এর আগে, হামাস আংশিকভাবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করার পর ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধ রাখতে বলেছিলেন।
ট্রাম্পের ঘোষিত প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দি মুক্তি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয় উল্লেখ রয়েছে। তবে ওই উদ্যোগ কার্যকর হওয়ার আগেই ফের হামলার ঘটনা ঘটলো।
সূত্র: আল-জাজিরা